ভূ-রাজনীতির জটিল গ্যাঁড়াকলে রোহিংগা জনগোষ্ঠী
রোহিংগা প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে মায়ানমারকে কি কেউ গুণায় ধরতেছে? না! অথচ সমস্যাটা মায়ানমারের নাগরিকদেরকে নিয়েই, চীন কিংবা ভারতের নয়! কি বুঝলেন? ঘুরে ফিরে ওই #Geo_Political_Issue! মানে, #ভূ_রাজনৈতিক_সমস্যা।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকের ফাঁকে ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসুস্থ শরীর নিয়ে ভারত আর চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের পেছনে দৌড়াচ্ছেন! একটা বৈঠক অলরেডি সফলভাবে শেষ বলে দাবী করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী (সংযুক্ত ভিডিওতে)।
অর্থাৎ, রোহিংগারা এখানে স্বেচ্ছায় যেমন বেড়াতে আসেননি, আবার মায়ানমারেরও এত খুনোখুনি করতে মজা লাগছে, ব্যাপারটা তাও নয়। কারণ তারা এমনিতেই অনেকগুলি নিষেধাজ্ঞার মধ্যে আছে। বাট চীন এবং ভারত মায়ানমার আর্মিকে বাধ্য করেছে এই নৃশংসতা চালাতে, যা একেবারে ক্রিস্টাল ক্লিয়ার!
কিন্তু কেন? কিইবা তাদের লাভ এতে?
কোর লেভেল রিজনগুলিঃ
* সেন্ট মার্টিন এর বিপরীতের উপকূলীয় এলাকায় আকিয়াব বন্দর কেন্দ্রীক এন্টি আমেরিকান এবং এন্টি ইন্ডিয়ান মেরিন মিলিটারি পোর্ট বানাতে চায় চীন ।
* ইউরেনিয়াম ও অন্যান্য মূল্যবান খনিজ এর সন্ধান পাওয়া গেছে আরাকানের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় যা উত্তোলনে মরিয়া চীন ও আমেরিকা দুদেশই। এজন্য নির্যাতন বন্ধে তড়িৎ পদক্ষেপ নেওয়ার পরিবর্তে বাংলদেশ সরকারকে সীমানা খুলে দিতেই বেশি চাপ প্রয়োগ করতে দেখা গেছে USA, UN গংদেরকে!
* ভারত চায়, ''মায়ানমার যেমন দিছে, তেমনি আমরাও বের করে দিচ্ছি .... বাংগালী মুসলিমদের''এই যুক্তিটা খাড়া করতে। তার উপর বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করে রাখার মজাই আলাদা!
* চীন যা চায় আমেরিকার স্বার্থ এখানে একইসাথে তার সমান্তরাল ও বিপরীতার্থক। মূল উদ্দেশ্যে হলো, নেভাল ফ্যাসিলিটি তৈরী করে চীন এবং ভারতকে চোখে চোখে রাখা। আর ইউরেনিয়াম, প্লুটোনিয়াম তুলতে ওরা বেশ দক্ষ। পশ্চিম আফ্রিকা অলরেডি খাওয়া শেষ। পাশাপাশি, মোড়লেপনার ব্যাপক সুযোগও রয়েছে। আছে অস্ত্র ব্যবসার হাতছানিও।
যদিও ইয়াংকীদের স্বার্থগুলি সবসময়ই বহুমূখী এবং সহজ প্রতিস্থাপনযোগ্য হয়ে থাকে অনেকটা "ঘি পড়লে ডাইলে পড়বে" স্টাইলে।
*** কাজেই, সব পক্ষেরই দরকার যায়গাটা খালি করা। কথা কিলিয়ার না বেজাল আছে?
#StandWithRohingya
#StopGenocideInMyannmar
#StopEthnicCleansing
#SaveHumanity
#RohingyaCrisis
https://youtu.be/u_yYUfiUD7Y
Comments
Post a Comment