জাপানে বাংলাদেশী রসায়ন বিজ্ঞানীর অনন্য আবিষ্কারঃ করোনার 'সাময়িক প্রতিরোধ' ও "চিকিৎসা" কেবল ১টি মাত্র ওষুধেই ( One Medicine Treatment)

আপনি কি "কেবল ১টি মাত্র ওষুধেই"  করোনা প্রতিরোধ (সাময়িকভাবে) ও চিকিৎসা পদ্ধতি তথা One Medicine Solution সম্পর্কে অবগত ?

জাপানের একটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে Phd কোর্সে অধ্যয়নরত আমাদের একজন কক্সবাজারীয় রসায়ন বিজ্ঞানীর সাজেশান টা পড়ে দেখুনঃ

জ্বর, কাশি, গলা ব্যাথা,  শ্বাসকষ্ঠ হলে এবং Covid19 symptoms

মোট কোর্স:     7-14 দিন  বা   10 দিন।

1) লেভো-সালবিউটামল,
      (Purisal 2 mg  বা levostar 2mg) 1টি  করে দিনে 3 বার, খাবার  পরে।

অথবা
লেভো-সালবিউটামল
   (Purisal 1 mg বা levostar  1 mg))
     1 টি  করে দিনে 4  বার, খাবার  পরে।
(অপশনাল
2) Multivit plus = 1 টি 1 বার, সকালে খাবার  পরে )

3) প্যারাসিটেমল 500 মি গ্রা (নাপা বা এইচ)
       1    +      1      +      1

অপশনাল
4) মন্টিটেলুকস্ট 10
     ( Telukast 10  বা মুনাস 10)
          1 টি 1 বার রাতেখাবার  আধ ঘন্টা  পুর্বে কামড়ি চিবিয়ে খাবে।

বি দ্র: 1) ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী মেডিসিন     
             সেবন করা উচিৎ।

          2)  এই মেডিকেশনের সময় ঠান্ডাজাতীয় রোগের অন্য কোন মেডিসিন যেমন: হিস্টামিন, এন্টিহিস্টামিন, ফেক্সু, ডক্সিবা, ডক্সিপাইলিন, রুপা কাঁশির সিরাপ, এন্টিবায়োটিক ইত্যাদি  সেবন করবেন না।

প্রতিক্রিয়া:
যাদের করোনা লক্ষণ বা পজিটিভ, সেক্ষেত্রে প্রথম বা দ্বিতীয় টেবলেট সেবন করার কিছুক্ষণের মধ্যে এক-চার ঘন্টার জন্য শরীরে ধড়পড় বা  কম্পন হবে, কিন্তু 24-48 ঘন্টার মেডিসিন  সেবন করার পর এই রকম ধড়পড় থাকেনা।  যদি করোনা না থাকলে এই রকম ধড়পড় বা কম্পন হয়না।

লেভোসালবিউটামল 1 mg দিনে চার বার করে সেবন করলে এই রকম কম্পন অনুভুত হয়না, ভাল হতে 4-5 দিন, কিনতু লেভোসালবিউটামল 2 mg দিনে 3 বার করে সেবন করলে সামান্য কম্পন হতে পারে, তবে 3-4 দিনে ভালো হয়।

বেশী বেশী খাবার খাবেন, প্রয়োজনমতো হাঁটা চলা করবেন। লেবু, আদা, দারুচিনিযুক্ত সহনীয় গরম পানি পান করবেন।

মোট কোর্স:     7 বা  10   or 14 দিন।

রসায়ন বিজ্ঞানী Shahjahan Kutubi সাহেবের ফেইসবুক আইডিঃ

Shajahan Kutubi



গবেষণাপত্রটি সম্পর্কে মেইনস্ট্রিম মিডিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদনটি পড়ুনঃ

জ্বর, কাশি, গলাব্যথা, শ্বাসকষ্ট প্রভৃতি উপসর্গ (কভিড-১৯ এর উপসর্গ হিসেবে পরিচিত) পরিলক্ষিত হলে বিভিন্ন মেডিসিন ব্যবহার হচ্ছে এবং অনেক রোগীও আরোগ্য লাভ করছেন। আবার হাসপাতালে ভেন্টিলেটর ও আইসিইউ স্বল্পতার কারণে শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত অনেক রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। 

ফুসফুসে অক্সিজেনের সরবরাহ অক্ষুণ্ণ রাখবে এবং কৃত্রিমভাবে অক্সিজেন সরবরাহ করতে হবে না- এমন একটি মেডিসিন উৎপাদন করা যায় কিনা তা নিয়ে ভাবতে গিয়ে সালবিউটামল মেডিসিনের সন্ধান পেয়েছি। বিশেষভাবে যারা জ্বর, কাশি, গলাব্যথা, শ্বাসকষ্ট উপসর্গ নিয়ে দুর্ভাগ্যজনকভাবে চিকিৎসা নিতে পারছেন না, তাদের কথা চিন্তা করে স্টাডি করেছি মাত্র। 

কোভিড-১৯ ও এর মেডিকেশনের ওপর প্রকাশিত বিভিন্ন গবেষণাপত্রের ওপর ভিত্তি করে তাত্ত্বিক গবেষণায় প্রায় এক হাজার মেডিসিনের মধ্যে রসায়নের বিভিন্ন বিষয়, কার্যকর রাসায়নিক গ্রুপ, ফুসফুসে এই মেডিসিনের কার্যকর অ্যাকশন, বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, একাধিক মেডিসিনের পারস্পরিক ক্রিয়া-বিক্রিয়া ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করে 'ওয়ান মেডিসিন ওয়ান টার্গেট' ফর্মুলা তত্ত্বের ডেভেলপ করি।

সালবিউটামলঃ গবেষণা প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্যমতে, এই মেডিসিন ফুসফুসে বাতাসের প্রবাহ বাড়িয়ে দেয় এবং অন্যান্য মেডিসিনের তুলনায় এটি খুব ছোট হওয়ায় এর রাসায়নিক ধর্মগুলো মূল লক্ষ্যে আক্রমণে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ অপরিহার্য মেডিসিন হিসেবে তালিকাভুক্ত। এই মেডিসিন নেওয়ার সময় অন্যান্য মেডিসিন নিলে সাধারণভাবে ড্রাগ ইন্টার‌্যাকশনের কথা বিবেচনা করতে হবে। তাই তাত্ত্বিক গবেষণায় 'ওয়ান মেডিসিন ওয়ান টার্গেট' মডেলের মেডিকেশন ফর্মুলাটি প্রয়োগ করেছি, যাতে কোনো মেডিসিন ইন্টার‌্যাকশন না হয়।

এক্সপেরিমেন্টাল স্টাডি
সালবিউটামলের 'ওয়ান মেডিসিন ওয়ান টার্গেট' ফর্মুলা তত্ত্বের ভিত্তিতে জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট আছে এমন ১৫-২০ জনের ওপর ও জ্বর, কাশি, গলাব্যথা আছে এমন ৪০-৪৫ জন রোগীর ওপর এবং করোনা পজিটিভ এমন ১৩ জনসহ মোট ৭০-৮০ জনের ওপর প্রয়োগ করে ১৮-৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এসব উপসর্গের প্রশমন হওয়ার শতভাগ সাফল্য পাওয়া গেছে। রোগীদের ভাষ্যমতে, তারা ২৪-৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এসব উপসর্গের উপশম হয়ে সুস্থ হয়েছেন ও পরে পাঁচ বা সাত দিনের মেডিকেশন কোর্স সম্পন্ন করেছিলেন।


রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা : 
ক) এক-সাত দিন জ্বর, ১০০-১০৩ ডিগ্রি; খ) সপ্তম দিন থেকে শ্বাসকষ্ট শুরু, অষ্টম দিনে তীব্র শ্বাসকষ্ট। এ রকম ৭০-৮০ রোগীকে প্রয়োগ করলে সবাই তিন-পাঁচ দিনেই সুস্থ হয়েছিলেন। সম্পূর্ণ কোর্সটি পাঁচ-সাত দিনের, লেভো-সালবিউটামল সালফেট ২ মি. গ্রা. হলে পাঁচ দিন, ১ মি.গ্রা. হলে সাত দিন।

প্রথম ডোজ : 
ক) লেভো-সালবিউটামল সালফেট (১ বা ২ মি. গ্রা.) খাওয়ার পর একটি করে। প্রথমটি খাওয়ার পাঁচ-ছয় ঘণ্টা পর দ্বিতীয়টি এবং দ্বিতীয়টির সাত-আট ঘণ্টা পর তৃতীয়টি। এভাবে ১৪ -১৫ ঘণ্টার মধ্যে মোট তিনটি। 

পরের দিন থেকে দিনে একটি করে ২ মি. গ্রা. ট্যাবলেট দিনে তিনবার। 

১ মি. গ্রা. ট্যাবলেট হলে দিনে চারবার। 

খ) শুধু প্রথম সালবিউটামলের সঙ্গে একটি মাল্টিভিটামিন সেবন করতে হবে। 

গ) প্যারাসিটামল ৫০০ মি. গ্রা. একটি করে দিনে তিনবার (যদি জ্বর থাকে)। 

ঘ) যাদের অ্যাজমাজনিত শ্বাসকষ্ট আগে থেকে ছিল, তাদের মন্টিলুকাস্ট ১০ (টেলুকাস্ট ১০ বা মোনাস ১০ বা অন্য ব্র্যান্ড) রাতে খাওয়ার আধঘণ্টা আগে চিবিয়ে সেবন করতে হবে।

দ্বিতীয় ডোজ থেকে পরবর্তী ডোজ : 
ক) লেভো-সালবিউটামল ২ মি. গ্রা. ট্যাবলেট দিনে তিনবার, ১ মি. গ্রা. ট্যাবলেট দিনে চারবার। 

খ) মাল্টিভিটামিন (১ + ০ + ০); 

গ) প্যারাসিটামল (৫০০ মি. গ্রা.) যদি জ্বর ৯৯ ডিগ্রি বা বেশি থাকে (১ + ১ + ১); 

ঘ) যাদের শ্বাসকষ্ট বেশি বা অ্যাজমাজনিত শ্বাসকষ্ট আগে থেকে ছিল তাদের জন্য মন্টিলুকাস্ট ১০ (টেলুকাস্ট ১০ বা মোনাস ১০ বা অন্য ব্র্যান্ড) রাতে খাওয়ার আধঘণ্টা আগে চিবিয়ে সেবন করতে হবে।

বাচ্চাদের জন্য : 
ক) লেভো-সালবিউটামল সিরাপ দিনে তিন/চারবার; 

খ) মাল্টিভিটামিন সিরাপ (১ + ০ + ০), 

গ) প্যারাসিটামল সিরাপ দিনে তিনবার।

গুরুত্বপূর্ণ প্রতিক্রিয়া :
* করোনার উপসর্গ জ্বর, গলাব্যথা, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি ও করোনার উপস্থিতি থাকলে বুকে ধড়ফড় অনুভূত হয় এবং ৬-১২ ঘণ্টা পর্যন্ত থাকে। তারপর ধীরে ধীরে কমতে থাকে।

* বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ১২-২৪ ঘণ্টার মধ্যে শ্বাসকষ্ট, গলা ব্যথা ও জ্বরের সমাপ্তি ঘটেছে।

* কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে ৩৬-৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মেডিসিনের কার্যকারিতা পরিলক্ষিত হয়েছে।

***এ পর্যন্ত মেডিসিনের কোনো নেগেটিভ কার্যকারিতা পরিলক্ষিত হয়নি। আলহামদুলিল্লাহ।



কেইস স্টাডি-১, (জুন ১৫, ২০২০):
আমার স্ত্রীর চাচা (ঢাকা, বয়স ৫২-৫৩ বছর) পাঁচ-ছয় দিন জ্বর, গলাব্যথায় ভোগার পর সপ্তম দিনে শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাকে এই চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং নিয়মিত শ্বাসকষ্টের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা ও না কমলে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে এবং অক্সিজেন দিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে- এমন সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছিল। ওষুধ প্রয়োগের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শ্বাসকষ্ট প্রশমিত হয়েছিল।

কেইস স্টাডি-২ (জুলাই ৪, ২০২০) : 
কক্সবাজারে একই পরিবারের সাতজন (৩-৬০ বছর বয়সের) একই ধরনের জ্বর, গলাব্যথা, কাশি, তীব্র শ্বাসকষ্টে ভুগছিল এবং করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছিল। বাংলাদেশে প্রেসক্রাইব করা মেডিসিন কাজ না করায়, অন্য রোগীর মাধ্যমে খবর পেয়ে এই মেডিকেশন পদ্ধতিতে তিন-পাঁচ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে দ্বিতীয় বার টেস্টে করোনা নেগেটিভ শনাক্ত হয়েছিল।

সীমাবদ্ধতা ও ফলাফল : 
রোগীদের বয়স ৩-৬৬, মোট পর্যবেক্ষণ ৭০-৮০ জনের ওপর, অন্যান্য রোগের উপস্থিতি আছে কিনা জানা নেই। তবে যাদের ওপর প্রয়োগ হয়েছে তাদের সবাই সুস্থ হয়েছেন। তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
এখানে আমি শুধু একটি মেডিসিনের সঙ্গে একটি মাল্টিভিটামিনের সমন্বয়ে একটি মেডিকেশন পদ্ধতির কথা বলেছি যা ১২-৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ফল দেয়। এই মেডিকেশন পদ্ধতিতে মেডিসিন ফুসফুসের কোষকে সক্রিয় করে অক্সিজেন প্রবাহ বৃদ্ধি করে। এতে কৃত্রিম অক্সিজেন সাপ্লিমেন্টের প্রয়োজন হয় না। আশা করি এই পদ্ধতি বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
msk.chem@gmail.com
প্রধান গবেষক, 
কে জে কেমিক্যাল করপোরেশন
সেইকো পিএমসি, ডিআইসি, জাপান।
দৈনিক সমকালে প্রকাশিত সম্পূর্ণ প্রতিবেদনের লিংক 


সম্মানিত গভেষক ও বিজ্ঞানীর নিজস্ব ফেইসবুক আইডি থেকেঃ
“One Medicine One Target” ফরমুলায় “লেভো-সালবিউটামল” মেডিকেশন্ 

আসসালামু আলাইকুম। আজ জাপানে পবিত্র রমজানের ১ম রোজার ইফতার শেষ করলাম। আগামীকাল থেকে সবচেয়ে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে পবিত্র রমজান মাস শুরু হচ্ছে। সকলের প্রতি রমজানের মুবারকবাদ জানাচ্ছি। এই করোনা ভাইরাসময় বিশ্বে, সকলের প্রতি সর্বপ্রথম স্রষ্টার প্রতি অবিচল থেকে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথ মেনে চলার আহ্বান রইল এবং পরম করুণাময় স্রষ্টা আমাদের বিশ্বকে করোনামুক্ত করে সবাইকে সুস্থ রাখুক এই প্রার্থনা করছি।
      
 ২০২০ সালে জুলাই মাসে, বিশেষভাবে যে সকল রোগী সর্দি জ্বর, কাশি, গলাব্যাথা, খাদ্যে অরুচী-গন্ধ, শ্বাসকষ্ট উপসর্গ নিয়ে দুর্ভাগ্যবশতঃ চিকিতসা নিতে পারছিলনা, বিভিন্ন কারণে হাসপাতালে ভর্তির সুযোগ পায়নায়, তারা চরম বিপদে খড়কুড়ো আঁকড়ে ধরে জীবন বাঁচার চেষ্টা করে দেখার মতো, সস্তা ও সহজলভ্য, এবং ড্রাগ-ইন্টারেকশন বিহীন, এই পয়েন্টের উপর ভিত্তিকরে একটি মেডিকেশনের বিষয় ত্বাত্তিক গবেষণায় চিন্তা করেছিলাম, এবং প্রদত্ত “One Medicine One Target” ফরমুলায় “লেভো-সালবিউটামল” মেডিকেশনের বিষয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। বর্তমানে একই অবস্থার প্রেক্ষিতে, অনেকে এই মেডিকেশন সম্পর্কে জানতে চেয়ে লিখার জন্য অনুরুধ করার কারণে এই লিখা জনস্বার্থে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করলাম যেন জনসাধারণের উপকারে আসে।
   
    এই “One Medicine One Target” ফরমুলায় এখন পর্যন্ত এইসকল উপসর্গ জনিত রোগ এবং COVID-19 পজিটিভ, প্রায় ২০০০ জন (বয়সঃ ৭-৬৮ বছর) এর অধিক রোগী (দৈনিক ৫-১০ জন) ঘরোয়াভাবে চিকিতসা নিয়ে ১০০% রোগী আল্লাহর রহমতে ভাল হয়েছেন। এখানে প্রায় ১০০০ জন মত এক জন ডাক্তার নিয়মিত এই মেডিসিন রোগীর বিভিন্ন রোগ বিবেচনা করে ও নিয়মিত মেডিসিন সেবনের তালিকার ভিত্তিতে এই মেডিসিন প্রেস্ক্রাইব করছেন এবং বাকি গুলো অন্যান্য রোগীর এক জন থেকে অন্যজন দ্বারা চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করছেন। 
   
ডায়েবেটিক, হৃদরোগ, কিডনীরোগ, উচ্চরক্তচাপের মেডিসিনের (ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে) ক্ষেত্রে কোন সমস্যা দেখা  যায় নাই এবং এইসবরোগ নিয়ন্ত্রিত ছিল। প্রথম ডোজ নেওয়ার পর অক্সিজেন মাত্রা ৭৮ থেকে ৮৬ প্রথম ডোজ দেওয়ার পর (ডাক্তারের উপস্থিতিতে), ঘরোয়াভাবে ৯০ থেকে ৯৬ এ, ৮৮ থেকে ৯৬ ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ ফলাফল পাওয়া গিয়েছে। কিছু রোগী ছিল, অন্য প্রচলিত মেডিকেশন পদ্ধতি প্রয়োগে দীর্ঘদিন ৪৫-৬০ দিন করোনামুক্ত হচ্ছিলনা, ৩ বার টেস্ট করার পরও পজেটিভ। সেক্ষেত্রে এই মেডিকেশনে ১০ দিনের মধ্যে করোনা নেগেটিভ রেজাল্ট হয়েছে। কিছু রোগীর সর্দি জ্বর প্রচলিত চিকিৎসা নেওয়ার পরও একমাস যাবত নিরাময় না হওয়ার পর এই মেডিকেশনে আরোগ্যলাভ করেছেন।  এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা মেডিসিনের ক্রিয়াঃ করোনা লক্ষণ বা পজিটিভ, সেক্ষেত্রে প্রথম বা দ্বিতীয় টেবলেট সেবন করার কিছুক্ষণের মধ্যে এক-চার ঘন্টার জন্য শরীরে ধড়পড় বা  কম্পন হবে, হার্টবিট বাড়ে কিন্তু ২৪-৪৮ ঘন্টার  মেডিসিন  সেবন করার পর এই রকম ধড়পড় থাকেনা।  যদি করোনা না থাকলে এই রকম ধড়পড় বা কম্পন হয়না। লেভোসালবিউটামল ১ mg দিনে চার বার করে সেবন করলে এই রকম কম্পন অনুভুত হয়না, ভাল হতে ১০-১৫ দিনের কোর্স  সম্পন্ন করতে হয়। 
    
    এইসব রেজাল্ট বিবেচনায় কেউ প্রয়োজন মনে করলে, এই মেডিকেশন নিয়ে দেখতে পারেন। অবশ্যই অন্য মেডিকেশনের সাথে ড্রাগ-ইন্টারেকশন বিবেচনায় নিবেন। কোন বিশেষ রোগ থাকলে, ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করলে ভালো হয়। ডাক্তার সবরোগ বিবেচনায় নিয়ে এই মেডিসিনের আনুসাংগিক মেডিসিন নির্বাচন করবেন এবং অবশ্যই নিম্নের ড্রাগ ইন্টারেকশন বিবেচনা করবেন। 
 
মেডিকেশনঃ 
(১) লেভো-সালবিউটামল 2 mg  (দিনে ৩ বার) অথবা লেভো-সালবিউটামল 1 mg দিনে ৪ বার, 
(২) Multivitamin  ১ টি দিনে ১ বার, সকালে খাবার  পরে প্রথম একমাস (বছরে একবার কোর্স), 
(৩) প্যারাসিটেমল 500 মি গ্রা (নাপা বা এইচ), দিনে ৩ বার, 
(৪)যদি শ্বাসকষ্ঠ/কাঁশি থাকে, মন্টিটেলুকস্ট 10 (telukast 10  বা মুনাস 10), ১ টি দিনে ১ বার রাতে খাবার  আধ ঘন্টা  পুর্বে (কামড়ি চিবিয়ে) খাবেন। সম্পূর্ণ কোর্সঃ ৭ দিন বা ১০ দিন বা ১৫ দিন। 

বাচ্চাদের জন্য (ক) লেভো-সালবিউটামলের সিরাপ  (খ)প্যারাসিটেমল সিরাপ খাওয়াতে পারেন। সম্পূর্ণ কোর্সঃ ৭ বা ১৫ দিন

গুরুত্বপূর্ণঃ এই মেডিকেশনের সময় কোনধরনের এন্টিবায়োটিক এবং ঠান্ডাজাতীয় রোগের অন্য কোন মেডিসিন যেমন: হিস্টামিন, এন্টিহিস্টামিন, ফেক্সু, ডক্সিবা, ডক্সিপাইলিন, রুপা কাঁশির সিরাপ ইত্যাদি  সেবন করবেন না।

গুরুত্বপূর্ণঃ বেশী বেশী খাবার খাবেন, প্রয়োজনমতো হাঁটা চলা, শরীর মুভমেন্ট করবেন। লেবু, আদা, দিয়ে সহনীয় গরম পানি পান করবেন।

প্রতিক্রিয়া: যাদের করোনা লক্ষণ বা পজিটিভ, সেক্ষেত্রে প্রথম বা দ্বিতীয় টেবলেট সেবন করার কিছুক্ষণের মধ্যে এক-চার ঘন্টার জন্য শরীরে ধড়পড় বা  কম্পন হবে, কিন্তু ২৪-৪৮ ঘন্টার মেডিসিন  সেবন করার পর এই রকম ধড়পড় থাকেনা। লেভো-সালবিউটামল ১ mg দিনে চার বার করে সেবন করলে এই রকম কম্পন অনুভুত হয়না, ভাল হতে ১০-১৫ দিন।

আমার পরামর্শ হচ্ছে স্বাস্থ্য বিধি সর্বোতভাবে মেনে চলে কোন লক্ষণ  ছাড়া  শুধুমাত্র সর্দি জ্বর, কাশি, হলে শুরু থেকে এই মেডিকেশন অনুসরণ করলে ভাল হয়। অবশ্যই অন্য মেডিসিনের সাথে ড্রাগ-ইন্টারেকশন বিবেচনায় নিবেন।    

সবশেষে মহান করুনাময় সৃষ্টিকর্তা সকলকে সুস্থ রাখুক এই প্রার্থনা করছি।

প্রথম ডোজ : 
ক) লেভো-সালবিউটামল সালফেট (১ বা ২ মি. গ্রা.) খাওয়ার পর একটি করে। প্রথমটি খাওয়ার পাঁচ-ছয় ঘণ্টা পর দ্বিতীয়টি এবং দ্বিতীয়টির সাত-আট ঘণ্টা পর তৃতীয়টি। এভাবে ১৪ -১৫ ঘণ্টার মধ্যে মোট তিনটি। 

পরের দিন থেকে দিনে একটি করে ২ মি. গ্রা. ট্যাবলেট দিনে তিনবার। 

১ মি. গ্রা. ট্যাবলেট হলে দিনে চারবার। 

খ) শুধু প্রথম সালবিউটামলের সঙ্গে একটি মাল্টিভিটামিন সেবন করতে হবে। 

গ) প্যারাসিটামল ৫০০ মি. গ্রা. একটি করে দিনে তিনবার (যদি জ্বর থাকে)। 

ঘ) যাদের অ্যাজমাজনিত শ্বাসকষ্ট আগে থেকে ছিল, তাদের মন্টিলুকাস্ট ১০ (টেলুকাস্ট ১০ বা মোনাস ১০ বা অন্য ব্র্যান্ড) রাতে খাওয়ার আধঘণ্টা আগে চিবিয়ে সেবন করতে হবে।

দ্বিতীয় ডোজ থেকে পরবর্তী ডোজ : 
ক) লেভো-সালবিউটামল ২ মি. গ্রা. ট্যাবলেট দিনে তিনবার, ১ মি. গ্রা. ট্যাবলেট দিনে চারবার। 

খ) মাল্টিভিটামিন (১ + ০ + ০); 

গ) প্যারাসিটামল (৫০০ মি. গ্রা.) যদি জ্বর ৯৯ ডিগ্রি বা বেশি থাকে (১ + ১ + ১); 

ঘ) যাদের শ্বাসকষ্ট বেশি বা অ্যাজমাজনিত শ্বাসকষ্ট আগে থেকে ছিল তাদের জন্য মন্টিলুকাস্ট ১০ (টেলুকাস্ট ১০ বা মোনাস ১০ বা অন্য ব্র্যান্ড) রাতে খাওয়ার আধঘণ্টা আগে চিবিয়ে সেবন করতে হবে।

বাচ্চাদের জন্য :
ক) লেভো-সালবিউটামল সিরাপ দিনে তিন/চারবার;
খ) মাল্টিভিটামিন সিরাপ (১ + ০ + ০), 
গ) প্যারাসিটামল সিরাপ দিনে তিনবার।

গুরুত্বপূর্ণ প্রতিক্রিয়া :
* করোনার উপসর্গ জ্বর, গলাব্যথা, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি ও করোনার উপস্থিতি থাকলে বুকে ধড়ফড় অনুভূত হয় এবং ৬-১২ ঘণ্টা পর্যন্ত থাকে। তারপর ধীরে ধীরে কমতে থাকে।

* বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ১২-২৪ ঘণ্টার মধ্যে শ্বাসকষ্ট, গলা ব্যথা ও জ্বরের সমাপ্তি ঘটেছে।

* কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে ৩৬-৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মেডিসিনের কার্যকারিতা পরিলক্ষিত হয়েছে।

*** এ পর্যন্ত মেডিসিনের কোনো নেগেটিভ কার্যকারিতা পরিলক্ষিত হয়নি। আলহামদুলিল্লাহ।


Comments

Popular posts from this blog

সচিবালয়কে 'হিন্দু-আলয়' -এ রূপান্তর! নেপথ্যে কারা? কি হতে চলেছে বাংলাদেশে?

কাল্পনিক অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত ডানপন্থী ব্লগারদের দুঃখের দিনের কান্ডারী ফারাবির নিঃশর্ত মুক্তি চাই