‘স্বামীকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে তিনদিন আটকে রেখে ওসি প্রদীপসহ কয়েকজন মিলে তাকে টানা ধর্ষণ করেন। তিনদিন পর স্বামীকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে তাকে বাড়ি চলে যেতে বলা হয়। পরদিন তার স্বামীর গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। ওই সময় ধর্ষণের বিষয়ে মুখ খুললে পরিবারের সবাইকে হত্যার হুমকি দেন ওসি প্রদীপ।’ -যোগ করেন ওই ভুক্তভোগী নারী।
ওসি প্রদীপের কাছে ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ করে টেকনাফের হৃীলার আরেক গৃহবধূ একুশে পত্রিকাকে জানান, তার স্বামীর কাছে চাঁদা দাবি করে স্থানীয় সন্ত্রাসী গিয়াস বাহিনীর লোকজন। চাঁদা না দেওয়ায় একদিন সন্ধ্যায় এসআই মশিউর বাড়িতে এসে তাকে ইয়াবা কারবারি বলে ধরে নিয়ে যায়। পরে অজ্ঞাত স্থানে টানা তিনদিন আটকে রেখে ওসি প্রদীপ ও সন্ত্রাসীরা তাকে ধর্ষণের পর মরিচের গুঁড়ো দিয়ে গোপন স্থানে পাশবিক নির্যাতন চালায়। এরপর ইয়াবা দিয়ে আদালতে চালান করে দেয়।
ওই নির্যাতিত পরিবারের আলম নামের এক সদস্যের দাবি, তাদের পরিবারের ৬ নারীই প্রদীপের হাতে একইভাবে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
উখিয়া কোর্টবাজারের নির্যাতিতা এক মেয়ের অভিভাবক একুশে পত্রিকাকে জানান, ২০১৯ সালের শেষের দিকে তার পরিবারের কলেজ পড়ুয়া ১৭ বছরের এক তরুণী টেকনাফে প্রেমিকের সাথে দেখা করতে গেলে প্রেমিকসহ কয়েকজন মিলে তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন। ঘটনাক্রমে বিষয়টি ওসি প্রদীপ পর্যন্ত গড়ায়। ওইসময় ধর্ষকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে প্রদীপ নিজেও কয়েক দিন আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণের পর ইয়াবা দিয়ে ওই মেয়েকে চালান করে দেন।
অভিযোগ আছে, টেকনাফ হোয়াইক্যং এলাকার আনোয়ার নামের এক ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে গিয়ে অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন ওসি প্রদীপ। টাকা দিতে না পারায় তিনদিন পর কথিত বন্দুকযুদ্ধের নামে তাকে হত্যা করা হয়। এ বিষয়ে প্রতিকার পেতে নিহতের মেয়ে এবং বোন কক্সবাজার আদালতে যান। খবর পেয়ে ওই দুই নারীকে তুলে নিয়ে যায় ওসি প্রদীপের লোকজন। তাদের থানায় আটকে রেখে টানা ৫ দিন গণধর্ষণের পর ইয়াবা দিয়ে চালান দেওয়া হয়।
টেকনাফের ১৬ বছরের এক তরুণী তাকে জানিয়েছিলেন বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে এসে তাকে থানায় ১৫ দিন আটকে রাখেন ওসি প্রদীপ। এসময়ের মধ্যে একাধিকবার প্রদীপ তাকে ধর্ষণ করেন। পরে একইভাবে আরও কয়েকজন পুলিশ সদস্যও তাকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের পর প্রত্যেকবার গোপনাঙ্গে মরিচের গুঁড়ো দিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয় তাকে। এসময় যন্ত্রণায় চিৎকার করলে প্রদীপ ও তার সহযোগীরা উল্লাসিত হতেন বলে জানান ওই তরুণী। ধর্ষণ-পরবর্তীতে তাকে ইয়াবা দিয়ে চালান করে দেওয়া হয়েছিল।
কারাগারে এসে অসুস্থতার কারণে মৃত্যুর কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন ওই তরুণী। পরবর্তীতে সদর হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল। তার বুকে-পিঠে অমানসিক নির্যাতনের চিহ্ন ছিল বলে জানান ইউসুফ।
একইভাবে কারাগারে আসা টেকনাফের রঙ্গিখালীর এক তরুণী ইউসুফকে জানিয়েছিলেন, বাড়ি থেকে তুলে এনে একমাসের বেশি সময় আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করেন ওসি প্রদীপ। পরে মরিচের গুঁড়ো দিয়ে তাকেও মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়। সর্বশেষ ইয়াবা দিয়ে তাকেও চালান করে দেওয়ার ভয়াবহ বর্ণনা ওই তরুণীর মুখে শুনেছেন ইউসুফ।
এভাবে কারাগারে আসা অগণিত নারী চিকিৎসা নিতে এসে প্রদীপের কাছে ধর্ষণের লোহমর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইউসুফ।
ইউসুফের দেওয়া তথ্যমতে, প্রায় অর্ধশতাধিক তরুণী প্রদীপ কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়েছেন জানিয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। অবস্থা জটিল হলে ধর্ষিতাদের পাঠানো হত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী দেওয়া হয়েছে তাদের চিকিৎসা। এর বাইরেও অনেকে গর্ভবতী না হওয়ার জন্য চিকিৎসা নিলেও লজ্জায় ধর্ষণের কথা স্বীকার করেননি।
ইউসুফ আরও জানান, কারাগারে অন্তত ১৭ জন ধর্ষিতার লোমহর্ষক বর্ণনা এখনো তিনি ভুলতে পারেন না। তারা সবাই প্রদীপের ধর্ষণ-পাশবিকতার শিকার বলে দাবি করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রদীপ আমলে বাড়ি থেকে যেসব মেয়েদের টেকনাফ থানা পুলিশ ধরে আনতো তাদেরকে কমপক্ষে তিন থেকে ১০ দিন, কখনো এক মাস পর্যন্ত থানায় বা অজ্ঞাত স্থানে আটকে রাখা হতো। এসময়ের মধ্যে অভিভাবকদের কোনও ধরনের দেখা-সাক্ষাত বা তথ্য দেওয়া হতো না। বরং এ বিষয়ে কাউকে জানালে ক্রসফায়ারের হুমকি দেওয়া হতো।
এদিকে প্রদীপের সিরিয়াল ধর্ষণের বিষয়ে অবগত ছিলেন টেকনাফের স্থানীয় সাংবাদিকরাও। ওসি প্রদীপ টেকনাফের সুন্দরী মেয়েদের ইয়াবা কারবারি দাবি করে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে এসে টানা কয়েকদিন আটকে রেখে ধর্ষণের পর ইয়াবা দিয়ে চালান করে দিতেন বলে জানান সাংবাদিকরা। তবে প্রাণের ভয়ে নীরব ছিলেন বলে দাবি তাদের।
পড়ুন উখিয়া নিউজ ডট কম এর ফিচার রিপোর্ট
বাড়িটির নিচ তলায় হাতের ডান পাশের কক্ষটিতে গিয়ে দেখা যায় মা’মলার অ’সংখ্য গুরুত্বপূর্র্ণ কাগজপত্র। দু’তলায় গিয়ে দেখা মিলে ম’দের বোতল, ইয়াবা খাওয়ার সরঞ্জাম, পু’লিশ সদস্যদের জুুতা, ব্যাংকের খালি চেক, আর্মড পু’লিশের পোশাকসহ পু’লিশ সদস্যদের থাকার নানা আলামত।
অ’ভিযোগ রয়েছে, বাড়িটির মালিক মুদি দোকানি নূর মোহা’ম্মদকে গত বছর দোকান থেকে তুলে নিয়ে ক্রসফা’য়ার দেয় টেকনাফ থা’না পু’লিশ। নূর মোহা’ম্মদের স্ত্রী লায়লা বেগম অ’ভিযোগ করে বলেন, স্বামী নূর মোহা’ম্মদকে গত বছর মার্চ মাসে বাড়ির পাশে দোকান থেকে ধ’রে নিয়ে যায় টেকনাফ থা’না পু’লিশ।
পরে তাদের কাছ থেকে চল্লিশ লাখ টাকা দা’বি করেন পু’লিশ সদস্যরা। পাঁচ লাখ টাকা জোগাড় করে দিলেও শেষ র’ক্ষা হয়নি আমার স্বামীর। তাকে তারা ক্রসফা’য়ার দিয়ে দেয়। ঘ’টনার দুই মাস পরে এখান থেকে আমাদের বের করে দেয়া হয়। বাড়ি থেকে আমাদের কিছুই নিতে দেয়া হয়নি।
পরে ওসি প্রদীপ কুমারকে দলিল দেখালে দলিলটিও তারা নিয়ে নেয়। অ’ভিযোগ রয়েছে, নূর মোহা’ম্মদের স্ত্রী লায়লা বেগমকে তার দুই সন্তান সহ বাড়ি থেকে বের করে দেন ওসি। এরপর থেকে বাড়িটি দখলে নেন এই পু’লিশ কর্মক’র্তা। নিজের বাড়ি থাকতেও লায়লা বেগম মানুষের বাড়িতে বাড়িতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
গত বছরের ঘ’টনা। রাত দু’টা। নাজিরপাড়ায় একটি বাড়িতে এসে হানা দেন ওসি প্রদীপ। সেইদিন রাতে ওই বাড়ির তিন মহিলাকে তুলে নিয়ে যান তিনি। ঘুম থেকে তুলে থা’নায় নিয়ে যান ওই পরিবারের দুই পুত্রবধূকে।
এরপর তিন নারীকে ত্রিশ হাজার ইয়াবা দিয়ে গ্রে’প্তার দেখান তিনি। এর আগে তাদের গায়ে হাত তোলাসহ শ্লী’লতাহানির অ’ভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগীরা।
মিনি টমটম চালক আব্দুল মোত্তালেব ও তার বোন রহিমা আক্তারকে সাক্ষী দেয়ার কথা বলে নিয়ে যাওয়ার চে’ষ্টা করে পু’লিশ। একই সঙ্গে তাদের বাড়িটি ভা’ঙচুর চালানো হয়। কিন্তু রহিমা খাতুন পু’লিশের সঙ্গে না যেতে চাইলে মরিচের গুঁড়া তার নাকে-মুখে ছিটিয়ে দেয়।
পরে ওই নারীকে অ’সুস্থ অবস্থায় ধ’রে নিয়ে যায় পু’লিশ। এই অ’ভিযানে ওসি প্রদীপের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিল পু’লিশ সদস্য সাগর, সঞ্জিত দত্ত ও রুবেল।
এই এলাকার নারীদেরকে শুধু তুলে নিয়ে যাওয়াই নয়, যখন-তখন তাদেরকে শারীরিক নি’র্যাতন করার অ’ভিযোগ রয়েছে টেকনাফ থা’নার পু’লিশের বি’রুদ্ধে। অনেক নারীকে যৌ’ন হ’য়রানির অ’ভিযোগও আছে ওসি প্রদীপের বি’রুদ্ধে। টেকনাফ পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড অলিয়াবাদ গ্রামের একজন নারী যৌ’ন হ’য়রানির অ’ভিযোগ তুলেছে ওসির বি’রুদ্ধে।
অ’ভিযোগ ওঠে ওই নারীকে ওসি প্রদীপ শ্লী’তহানীর চে’ষ্টা করেন। কিন্তু শ্লী’লতাহানী না করতে পেরে তাকে মা’রধর ও লাথি দেন তিনি। নাজির পাড়ার বাসিন্দা দুদু মিয়াকে হ্নীলা থেকে আ’টক করে কথিত ক্রসফা’য়ার দেন ওসি প্রদীপ। গত বছরের রমজান মাসে তাকে আ’টক করে বিশ লাখ টাকা দা’বি করেন ওসির ডান হাত বলে পরিচিতি এএসআই সঞ্জিত। রাতের মধ্যে টাকা জোগাড় করলেও রাতেই তাকে ক্রসফা’য়ার দেয়া হয়।
দুদু মিয়ার স্ত্রী নাসিমা আক্তার অ’ভিযোগ করে বলেন, আমি সঞ্জিতের পায়ে পড়েছিলাম। তখন সে আমাকে লাথি দিয়ে ফেলে দিয়েছে। ওসির কাছে গিয়েছিলাম। উল্টো আমাকে হু’মকি-ধ’মকি দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছে। এর আগে ৫০ লাখ টাকা চেয়েছিল পু’লিশ।
এই ভয়ঙ্কর খুুুনীর নিষ্ঠুরতা রূপকথার পিশাচকেও কেউ হার মানিয়েছে!
পড়ুন কুখ্যাত "সিরিয়্যাল কিলার" ওসি প্রদীপঃ কেবল চাহিদামতো টাকা পেলেই ক্রসফায়ার দিতেননা!
Popular posts from this blog
পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত # মেজর_সিনহা_নিহত যা ঘটেছিল... (বিঃ দ্রঃ খুনের রহস্য অলরেডি উন্মোচিত। পোস্টের একেবারে নিচে একাধিক লিংক পাবেন) স্থানঃ শ্যামলাপুর আর্মি ক্যাম্প। বিস্তারিতঃ গত ৩১ জুলাই ২০২০ ইং তারিখে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা এবং সাথে আরও তিনজন নিয়ে ইউটিউব এর ট্রাভেল ভিডিও (জাস্ট গো) তৈরি করার জন্য ঢাকা থেকে কক্সবাজারে আগমন করেন। সাথে ছিলেন ডাইরেক্টর শিপ্রা, ক্যামেরাম্যান সিফাত ও আরো একজন নিয়ে নীলিমা রিসোর্টে অবস্থান গ্রহণ করেন। নীলিমা রিসোর্ট থেকে ভিডিও ধারণের জন্য বাহারছড়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের রাতের ভিডিও ধারণ করার জন্য ২০০০ ঘটিকার সময় মেজর সিনহা ও সিফাত পাহাড় দেখতে আসেন। লাইটের আলো দিয়ে পাহাড়ে অবস্থান গ্রহণ করলে স্থানীয় বাসিন্দারা ডাকাত দল ভেবে পুলিশকে খবর দেন। এই পরিস্থিতিতে মেজর সিনহা ও সিফাত পাহাড় থেকে নেমে এসে মেরিন ড্রাইভ রোডে প্রাইভেট কারে উঠে নীলিমা রিসোর্ট এর উদ্দেশ্যে গমন করার সময় বিজিবির চেকপোষ্টে মেজর সিনহা পরিচয় দিয়ে চলে আসে। পরবর্তীতে লামাবাজার পুলিশ চেকপোস্টে এলে পুলিশের সাথে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা বলে পরিচয় দেন। পুলিশ তাকে ডাকা
(বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুঃ এই "রহস্যময় হাসি) সদয় দৃষ্টি আকর্ষণঃ শুরুতে "ইতিবাচক বক্তব্য গুলো" রাখা হলো। সর্বশেষ "স্পর্শকাতর ইস্যুগুলি এবং গোয়েন্দা তথ্য " পোস্টের শেষের দিকে সংযোজিত। ছবি ও ভিডিও ফাঁস হওয়ার ব্যাপারে শিপ্রার আনুষ্ঠানিক বক্তব্যও সংযুক্ত করা হয়েছে। = = = আপনারা দয়া করে সিফাত - শিপ্রার ব্যাপারে আবেগপ্রবণ হবেননা। কারণ তারা সত্যিকার অর্থে পুরোপুরি মুক্ত নন। খুব সম্ভবতঃ তদন্তাধীন মামলার ব্যাপারে মুখ না খোলার শর্তে তাদেরকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন বা শর্তসাপেক্ষ জামিন এরকম কোন প্রক্রিয়ার সাময়িক মুক্তি(!) দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া, তারা র্যাব এর মামলায় রাজসাক্ষী হলেও পুলিশের দায়ের করা মাদক ও খুনের মামলার মামলায় আসামি। মুখ খুললেই ওসব মামলা এ্যাক্টিভ করা হবে, চুপ রাখার জন্য এমন হুমকি দিয়ে রাখা হয়েছে.... আমি প্রায় ১০০% কনফার্ম। মিন্নীকেও একই প্রক্রিয়ার জামিন দেওয়া হয়েছিলো, মনে আছে? মিন্নীর জামিনের ধরণও অনেকটা একই রকম ছিলো। সেও এখন ফেইসবুক ব্যবহার করে, শপিংয়ে যায়, আত্মীয় স্বজনদের বাসায় বেড়াতে যায়,
টেকনাফ থানার কুখ্যাত ওসি প্রদীপ কুমার দাস ছিল মূলত দেশের সর্বদক্ষিণের দুই সীমান্ত উপজেলা টেকনাফ উখিয়ার স্বঘোষিত রাজা। ফলে প্রশাসনিকভাবে প্রদীপ টেকনাফের ওসি হলেও বেআইনীভাবে তিনি উখিয়া থানা এলাকা থেকে টার্গেটকৃত ব্যাক্তিদের ধরে নিয়ে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ক্রসফায়ার দিয়ে হত্যা করতো। আর উখিয়ায় প্রদীপের এসব কাজের সহযোগী ছিল থানার ওসি মর্জিনা আক্তার। তিনি চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারী কক্সবাজার ডিবি থেকে বদলী হয়ে টেকনাফ থানা অফিসার ইনচার্জ হিসেবে যোগ দেন। এর পর থেকে টেকনাফের ওসি প্রদীপের সহযোগী হিসেবে উখিয়াতেও নীরিহ মানুষকে হয়রানী ও ক্রসফায়ারের নামে হত্যা মেতে উঠেনে। ওসি প্রদীপের নির্যাতন, চাঁদাবাজিম লুটপাট, হামলা-মামলা এবং কথিত বন্দুকযুদ্ধের শিকার হয়ে শত শত পরিবার নি:স্ব হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ওসি প্রদীপ ও তার কয়েকজন সহযোগী মেজর সিনহা হত্যা মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যাওয়ার পর এখনে সেসব পরিবারে অনেকে এলাকায় ফিরছে। উদ্যোগ নিচ্ছে আইনী মোকাবেলার। উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ইউনিয়নের তেমনি একটি পরিবারকে নি:স্ব করে দিয়েছে ওসি প্রদীপ ও ওসি মর্জিনা। তাদের রোষানলে পড়ে স্থানীয় একজন প্রতিনিধিকে ক
Comments