ওসি প্রদীপ ও ওসি মর্জিনার নেতৃত্বে উখিয়া ও টেকনাফে ক্রসফায়ারের রামরাজত্ব!
টেকনাফ থানার কুখ্যাত ওসি প্রদীপ কুমার দাস ছিল মূলত দেশের সর্বদক্ষিণের দুই সীমান্ত উপজেলা টেকনাফ উখিয়ার স্বঘোষিত রাজা। ফলে প্রশাসনিকভাবে প্রদীপ টেকনাফের ওসি হলেও বেআইনীভাবে তিনি উখিয়া থানা এলাকা থেকে টার্গেটকৃত ব্যাক্তিদের ধরে নিয়ে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ক্রসফায়ার দিয়ে হত্যা করতো। আর উখিয়ায় প্রদীপের এসব কাজের সহযোগী ছিল থানার ওসি মর্জিনা আক্তার। তিনি চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারী কক্সবাজার ডিবি থেকে বদলী হয়ে টেকনাফ থানা অফিসার ইনচার্জ হিসেবে যোগ দেন। এর পর থেকে টেকনাফের ওসি প্রদীপের সহযোগী হিসেবে উখিয়াতেও নীরিহ মানুষকে হয়রানী ও ক্রসফায়ারের নামে হত্যা মেতে উঠেনে।
ওসি প্রদীপের নির্যাতন, চাঁদাবাজিম লুটপাট, হামলা-মামলা এবং কথিত বন্দুকযুদ্ধের শিকার হয়ে শত শত পরিবার নি:স্ব হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ওসি প্রদীপ ও তার কয়েকজন সহযোগী মেজর সিনহা হত্যা মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যাওয়ার পর এখনে সেসব পরিবারে অনেকে এলাকায় ফিরছে। উদ্যোগ নিচ্ছে আইনী মোকাবেলার।
উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ইউনিয়নের তেমনি একটি পরিবারকে নি:স্ব করে দিয়েছে ওসি প্রদীপ ও ওসি মর্জিনা। তাদের রোষানলে পড়ে স্থানীয় একজন প্রতিনিধিকে ক্রসফায়ারে নামে হত্যা করেছে। এবং তার বাড়ীতে লুটপাট করে নিয়ে গেছে ৫১ লাখ নগদ টাকা ও বিভিন্ন মালামাল। কুতুপালং এর সেই জনপ্রিয় তিন তিনবার নির্বাচিত ইউপি মেম্বার বখতিয়ার আহমেদের হত্যাকাণ্ড নিয়ে আমাদের স্থানীয় উখিয়া উপজেলা প্রতিনিধি পাঠানো তথ্যচিত্র তুলে ধরা হল।
বাড়ীর দরজায় কড়া নেড়ে ‘বখতিয়ার ভাই, একটু বের হবেন! একজন মানুষকে শনাক্ত করতে হবে। আপনি চেনেন কিনা!’
ওসি প্রদীপের পরিচয় পাওয়ার পর বাড়ির দরজা খুলে দেন বখতিয়ার মেম্বার। তিনি উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ইউনিয়নের ৯ নাম্বার ওয়ার্ডের নির্বাচিত মেম্বার। যিনি টানা তিনবার ধরে নির্বাচিত হয়ে আসছেন।
বাড়ির দরজা খুলতেই দুইজন পুলিশ ছোঁ মেরে বখতিয়ার মেম্বারকে নিজেদের কব্জায় নিয়ে নেন। দ্রুত পুলিশের গাড়িতে তুলে নেন। তাঁকে তুলে নিয়েই পুলিশের গাড়ি যাত্রা করে।
পরিবারের অভিযোগ তখন বাড়িতে থাকা বখতিয়ার মেম্বারের তিন ছেলের মধ্যে মেজো ছেলে হেলাল উদ্দিন বাবার বিষয়টি জানতে ফোন দেন ওসি প্রদীপকে। ওসি প্রদীপ কুমার দাশ দুইবার ফোন রিসিভও করেছিলেন। তখন তার (হেলাল উদ্দিন) বাবার জন্য যতটুকু সম্ভব করার আশ্বাস দেন তিনি।
পরদিন সকালে টেকনাফ থানাসহ উখিয়া ও কক্সবাজারের বেশ কয়েকটি থানায় খোঁজ নেয় বখতিয়ার মেম্বারের ছেলে ও আত্মীয়-পরিজনরা। কিন্তু কোথাও বখতিয়ার মেম্বারের খোঁজ নেই।
পরিবারের অভিযোগ, সে প্রস্তাবে সাড়া না পেয়ে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশের নেতৃত্বে একদল পুলিশ রাত ৮টার দিকে আবারও বখতিয়ার মেম্বারের বাড়িতে হানা দেয়। এবার বাড়িতে ঢুকেই বখতেয়ার মেম্বারের সহধর্মিনী শাহানা আক্তারের হাতে পরিয়ে দেন হাতকড়া। শুরু করা হয় মানসিক, শারিরিক নির্যাতন। সাথে অকথ্য গালিগালাজ। ওই সময় বখতেয়ার মেম্বারের কলেজপড়ুয়া মেয়ে ও দুই পুত্রবধূকে চর-থাপ্পড় ও শ্লীলতাহানি করেন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও সাথে থাকা অন্য পুলিশরা। লজ্জায় যে কথা কাউকে বলতে পারেননি তারা। তারপর বাড়ির আলমিরা ভেঙ্গে লুট করা হয় ৫১ লাখ নগদ টাকা, অসংখ্য জমির দলিল ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র। ওই সময় বখতিয়ার মেম্বারকে পুলিশের সাথে আনা হলেও তাঁকে গাড়িতেই বসিয়ে রাখা হয়।
বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট আর নারীদের শ্লীলতাহানির পর বখতিয়ার মেম্বারকে নিয়ে ফিরে যায় ওসি প্রদীপের নেতৃত্বাধীন পুলিশের দল। তারপরও মোটা অংকের প্রস্তাব আসতে থাকে পুলিশের পক্ষ থেকে। কিন্তু বখতিয়ার মেম্বারের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন সাড়া পায়নি পুলিশ। রাত গভীর হয়। রাত তখন প্রায় আড়াইটা। বখতিয়ার মেম্বারের পরিবারের সদস্যদের কাছে মোবাইলে খবর আসে তাঁকে ক্রসফায়ারে মেরে ফেলা হয়েছে।
ঠিক এভাবেই আলোচিত বখতিয়ার মেম্বারকে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ‘হত্যা’র বিবরণ তুলে ধরেছেন তাঁর সহধর্মিনী শাহানা আক্তার।
পাঁচ সন্তানের এই জননী সাংবাদিকদের সামনে এই বিবরণ তুলে ধরে দাবি করেন, তাঁর স্বামী বখতিয়ার মেম্বারের বিরুদ্ধে থানায় কোন মামলা ছিল না। তিনি ইয়াবা কারবারেও জড়িত ছিলেন না। তিনি মূলতঃ কুতুপালং ইউনিয়নের ৯ নাম্বার ওয়ার্ডের মেম্বার হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নিজের পারিবারিক সিএন্ডএফ ব্যবসায়িক কাজ-কর্ম করে দিনাতিপাত করতেন।
শাহীনা আকতার দাবি করেন, তার স্বামী স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘ প্রায় দুই বছর ধরে অসুস্থ ছিলেন। পুলিশ ধরে নিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি বেশির ভাগ সময় বাড়িতেই কাটাতেন আর চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
তিনি মনে করেন, তাঁর স্বামী রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও সামাজিক শক্রুদের দ্বারা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। তাদের দ্বারাই প্রভাবিত হয়ে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ একজন অসুস্থ মানুষকে (বখতিয়ার মেম্বার) দুই রাত ও একদিন নির্যাতন চালিয়ে সুস্থ মস্তিস্কে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করেছেন। তার বিরুদ্ধে কোন থানায় মামলাতো দুরে থাক একটি জিডিও ছিল না দাবী করে স্ত্রী শাহীনা বলেন, আমার স্বামীকে পুলিশ কি অপরাধে ধরে নিয়েছে কেন হত্যা করেছে আমরা জানি না।
বখতিয়ারের স্ত্রী শাহীনা আকতার পাঠক ডট নিউজকে জানান, ওসি প্রদীপের হুমকি, ধমকিতে ভীত হয়ে এতদিন তারা মুখ খুলতে পারেননি। এমনকি হঠাৎ ক্রসফায়ারে স্বামীকে হারিয়েও তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে অবস্থান করতে পারছেন না। দিনে রাতে পুলিশসহ কোন না কোন বাহিনীর লোকজন এসে তাদের নানাভাবে হয়রানি করছে।
তিনি জানান, তার স্বামীকে হত্যা করেই ওসি প্রদীপ নিজের অপকর্ম থামাননি। তার তিন ছেলেকেও ক্রসফায়ার দেয়ার হুমকি, মাদক মামলাসহ তিনটি মামলায় আসামি করা হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের পর দিন ওসি প্রদীপ কুমার দাস সাংবাদিকদের বলেছিলেন-টেকনাফের হ্নীলার ওয়াব্রাং এ অভিযান চালিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা মো. ইউনুছকে ২০ হাজার ইয়াবাসহ আটক করা হয়। তার দেয়া তথ্যমতে পুলিশ উখিয়ার কুতুপালং ই ব্ল-কের ইউনুছ আলীর ছেলে ও স্থলবন্দর ব্যবসায়ী রোহিঙ্গা মো. তাহেরকে আটক করে। তাহেরের ভাষ্যমতে উদ্ধার ইয়াবার প্রকৃত মালিক উখিয়া কুতুপালংয়ের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মৌলভী বখতিয়ার (৫৫) ওরফে বখতিয়ার উদ্দিন মেম্বারের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ইয়াবা বিক্রির নগদ ১০ লাখ টাকা এবং ২০ হাজার ইয়াবাসহ তাকে আটক করা হয়। ভোরে তাদেরকে নিয়ে মিয়ানমার থেকে আনা হ্নীলার ওয়াব্রাংয়ে আকাশী গাছের বাগানে ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধারে গেলে তাদের সহযোগী ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পুলিশক লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে ওই দুজন গুলিবিদ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের কক্সবাজারে পাঠান। কক্সবাজারে নেয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি এই বক্তব্য মিথ্যা ও বানোয়াট সাজানো নাটক দাবী করেন তার স্ত্রী শাহিনা আকতার দাবি করেন, তাঁর স্বামী বখতিয়ার মেম্বারের ইয়াবা কিংবা মাদক মামলা তো দূরের কথা, অন্য কোন মামলাই নেই। অথচ ওসি প্রদীপ কুমার তার স্বামীকে তুলে নিয়ে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ সাজিয়ে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করেছেন। তিনি প্রশ্ন তুলেন, কোন ধরণের অভিযোগ ছাড়াই একজন মানুষকে কিভাবে হত্যা করা যায়!
বাবা বখতিয়ার মেম্বারকে হারানোর পরও ওসি প্রদীপ কুমার দাশের ভয়ে নিহত বখতেয়ারে স্ত্রী ও সন্তানরা কাটাতে হচ্ছে। শুধু ছেলে-মেয়েরা নয়, শাহিনা আকতার নিজেও পুলিশের ভয়ে আত্মীয় স্বজনের ঘরে রাত কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন। তিনি তাঁর স্বামী হত্যার বিচার চান। প্রয়োজনে হত্যা মামলা করবেন।
গৃহবধূ শাহানা আকতার স্বামী হত্যার বিচার ও ‘হত্যাকারী’ ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিচারের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছেও আবেদন জানিয়েছেন।
বখতিয়ার মেম্বারের ছেলে বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘আমার বাবা ৪নং রাজপালং ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে তিনবারের জনপ্রতিনিধি। এলাকায় আমাদের কয়েকটি রাইস মিল ও সিএন্ডএফ এর ব্যবসা রয়েছে। প্রতিদিনই আমরা চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা আয় করি। বাবার বিরুদ্ধে মামলা থাকা তো দূরের কথা, জিডি পর্যন্ত নেই। অথচ তাকে মাদক কারবারি বলে ক্রসফায়ার দিল। এছাড়া পুলিশ আমাদের ঘরে থাকা ব্যবসার ৫১ লাখ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, জায়গা জমির দলিল, খতিয়ান, ব্যাংকের চেকবই সহ মুল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। বাড়ীতে লুটপাটকালে আলমিরা থেকে টাকা বস্তায় ঢুকানোর সময় নীচে পড়ে যাওয়া টাকা ও স্বর্ণলঙ্কার ওসি মর্জিনা নিজেই কুড়িয়ে নেয়। উল্টো পুলিশ আমাদের তিন ভাইকে মাদক ও অস্ত্র মামলায় আসামি করল।’ তারা সরকারী খাতায় ১০ লাখ টাকা উদ্ধার দেখিয়ে বাকী ৪১ লাখ টাকা আত্মসাত করেছে।
তিনি বলেন, এসববের প্রমাণ ও সিসিটিভির ফুটেজ রয়েছে। সময় মত আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।
তিনি আরও বলেন, ‘এলাকার কেউ বলতে পারবে না আমরা মাদক ব্যবসা করি। আমি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। আরেক ভাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। ছোট ভাইটি কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে। অথচ ওসি প্রদীপ ও মর্জিনা আমাদের সন্ত্রাসী বানিয়ে দিল। আল্লাহ তার বিচার করবে। আমার পরিবার তাদের বিরুদ্ধে করার উদ্যোগ নিচ্ছি। ইতিমধ্যে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছি।’
এসব অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মর্জিনা আক্তার বলেন, ‘সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখাচ্ছি। কোনো মাদক কারবারি পুলিশের হাত থেকে রেহাই পাবে না। আমার বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।’ তিনি বলেন, টাকা লুট নয়, অভিযানের সময় তার বাড়ীতে ইয়াবা বিক্রির ১০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বলেন, ‘পুলিশের কোনো কর্মকর্তা বা সদস্য যদি কোনো অপকর্ম করে থাকে তার দায়ভার তার ওপরই বর্তাবে। এ ব্যাপরে আমরা খুব কঠোর। ওসি বা পুলিশের কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে যদি গুরুতর কোনো অভিযোগ আসে আমরা কমিটি গঠন করে তদন্ত করে থাকি। এমনকি রেঞ্জ ডিআইজি অফিস ও পুলিশ সদর দপ্তরও আলাদাভাবে তদন্ত করে থাকে। এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেওয়া হয় না।’
জেলার পুলিশ প্রধান আরও বলেন, ‘ক্রসফায়ার বা মাদক ব্যবসার নামে পুলিশের কেউ যদি কারও কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে থাকে, তবে তাদের ব্যাপারে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে অনেকে আবার অনেক সময় পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে থাকে, সেগুলোও আমরা খতিয়ে দেখি।’
কৃতজ্ঞতা স্বীকার
সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি "পাঠক নিউজ" এর ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত। মূল নিউজটি দেখতে নিচের লিংকে (নীল বর্ণের লেখায়) ক্লিক করুন।
ওসি মর্জিনা ও প্রদীপ যে ভাবে বখতিয়ার মেম্বারকে হত্যা করে ৫১লাখ টাকা লুট করে ওসি প্রদীপ ও মর্জিনা। পুরো প্রতিবেদনটি ইউটিউবে দেখতে নিচের লিংকে ক্লিক করুনঃঃ
২ওসি মিলে ৫১লাখ টাকা লুটের ভিডিও প্রতিবেদন
ওসি প্রদীপঃ নরহত্যাই যার নেশা(আরেকটি প্রতিবেদন)
২৩ জুলাই, অর্থাৎ সেদিন সন্ধ্যার পর উখিয়ার বখতিয়ার মেম্বারের বাড়িতে আবারও আসেন টেকনাফের ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও উখিয়া থানার ওসি মর্জিনা আক্তার। এ দফায় ভেঙে ফেলা হয় ক্লস সার্কিট ক্যামেরা(CCTV)। তারপর চালানো হয় তল্লাশি (ও লুটতরাজ)
বখতিয়ার মেম্বারের ছেলের বৌ বলেন, আমি বলি মহিলা পুলিশ কই? পুরুষরা কেন আমার শাশুড়ির হাত ধরতেছে। তিনি হজ করে এসেছেন। এই কথার বলার পরই ওসি প্রদীপ আমাকে এমন একটা চড় মারেন জীবনে আমি এরকম মার খাইনি কারো কাছ থেকে।
এদিকে রাত ১২টার দিকে খবর ছড়িয়ে পড়ে টেকনাফের হ্নিলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। রাত আড়াইটার দিকে টেকনাফ ভয়েস নামের একটি ফেসবুক পেজ-এ এমন খবরও আসে। সেখানে যোগাযোগ করে পরিবার জানতে পারে বখতিয়ার মেম্বার ও মোহাম্মদ তাহের নামের দু’জনের মৃত্যু হয়েছে ‘বন্দুকযুদ্ধে’। ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আসে তাদের লাশ।
এর আগে ২৩ তারিখ রাতেই একটি মাদক মামলা দায়ের করা হয় টেকনাফ থানায়। আসামি করা হয় ১৫ জনকে। তারপর অস্ত্র মামলাসহ আরও একটি মামলা হয়। যাতে আসামি করা হয় বখতিয়ার মেম্বারের তিন ছেলেকে।
CCTV ভেংগে চালানো হয় নজিরবিহীন লুটতরাজ
কক্সবাজারের ওসি মর্জিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে সে ওসি প্রদীপের সহযোগী হয়েছে নানা অপকর্ম করেছে।
এবার তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের তথ্য প্রমাণ এসেছে আমার কাছে। উখিয়া থানার এক কনস্টেবলের সাথে এই মেয়ের রিলেশন ছিলো। বিয়ে করার কথা বলে কনস্টেবল মেয়ের সাথে গভীর সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এরপর বিয়ে করতে রাজি হয়না। পরবর্তীতে মেয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে কনস্টেবল থেকে টাকা খেয়ে ওসি মর্জিনা ও তার অপরাধ কার্যের সহযোগী পুলিশ এই মেয়েকে নির্যাতন করে।
ডানপাশে মেয়েটির শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন। মর্জিনা ও তার সহযোগী পুরুষ সদস্যের ২ দিনের নির্যাতনে মেয়েটির কাপড়চোপড়ও রক্ত ভিজে যায়।
স্পর্শকাতর জায়গাগুলোতে আঘাত করে পুলিশের পুরুষ সদস্যরা....... কোন আইনে পুরুষ সদস্য দিয়ে মেয়েদের নির্যাতনের কথা বলা আছে?
এই নির্যাতন আবার বৈধ করতে এসে অনেকে মেয়েটির দোষ ধরতে আসবে। মেয়েটি দাবি করেনি সে নির্দোষ। কিন্তু যেখানে কনস্টেবলের শাস্তি হওয়ার কথা, সেখানে পুরুষ সদস্য দিয়ে ওসি মর্জিনা শুধু মেয়েটিকেই ২ দিন ভর নির্যাতন করেছে। এবং এই নির্যাতনে নিজেও অংশ নিয়েছে...
ওসি মর্জিনার ভয় নাই, প্রত্যাহার ব্যতীত কোন শাস্তি নাই।
অভিযানের সময় ৫ টাকার পয়সাও নিয়ে গেছেন উখিয়ার থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মর্জিনা আকতার। পাশাপাশি ওসি প্রদীপের সঙ্গে মিলে মা, বোন ও আমাকে নির্যাতন করেছেন অমানুষিকভাবে। তারা ১৮ লাখ টাকার নেয়ার কথা বলে নিয়ে গেছে ৫১ লাখ টাকার বেশি। ওই দুই ওসি এই ন্যাক্কারজনক অভিযানে আমার নির্দোষ শ্বশুরকে যেমন নিয়ে গেছে, একই সঙ্গে নিয়ে গেছে আমাদের সহায় সম্বলও।
উপরের কথাগুলো বলেছেন কক্সবাজারের উখিয়া কুতুপালং এলাকার ইউপি সদস্য কথিত বন্দুকযুদ্ধে সম্প্রতি সময়ে নিহত বখতিয়ার মেম্বারের পুত্রবধূ রোমানা শারমিন।
ওসি মর্জিনার ভাংতি পয়সা তত্ব নিয়ে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন
বখতিয়ার হত্যা ইস্যুতে নিচে একজন পেশাদার সাংবাদিকদের জবানবন্দী:Shahnewaz Zilluসেদিন আমি একাধিকবার ফোন করে উখিয়া থানার ওসি মর্জিনাকে ফোনে পাই। জানতে চেয়েছিলাম বখতিয়ারকে আটক করা হয়েছে কোন অভিযোগের ভিত্তিতে। তিনি সোজা জবাব দেন বখতিয়ার আটক কিনা সেটাই জানেন না। দিন সকাল দেখতে পেলাম বন্দুকযুদ্ধে তিনি নিহত। |
অথচ আজকে মহসিন ভাইয়ের করা প্রতিবেদনে দেখতে পেলাম ওইদিন ওসি মর্জিনা নিজে থেকে বখতিয়ারকে ঘর থেকে ধরে টেকনাফের ওসি প্রদীপের হাতে তুলে দেয়।
মজার ব্যাপার হচ্ছে- বখতিয়ারের পরিবারের অভিযোগ প্রদীপ ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে সন্তুষ্ট থাকলেও ওসি মর্জিনা ঘরে থাকা ভাংতি টাকাও নিয়ে যায়।
ব্লু-টুথ ওসি হিসেবে পরিচিতি পাওয়া উখিয়া ওসি মর্জিনার কু-কীর্তি সম্পর্কে....
একজন দক্ষ ইউটিউবার এর অসাধারণ বিশ্লেষণ!
ওসি প্রদীপের জলসা ঘর ছিল বিকল্প থানাঃ
ওসি প্রদীপের ‘জলসা ঘর’ ও বিকল্প থানা (ভিডিও)
বাড়িটির মালিক মুদি দোকানি নূর মোহাম্মদকে গত বছর দোকান থেকে তুলে নিয়ে ক্রসফায়ার দেয় টেকনাফ থানা পুলিশ। নূর মোহাম্মদের স্ত্রী লায়লা বেগম অভিযোগ করে বলেন, স্বামী নূর মোহাম্মদকে গত বছর মার্চ মাসে বাড়ির পাশে দোকান থেকে ধরে নিয়ে যায় টেকনাফ থানা পুলিশ। পরে তাদের কাছ থেকে চল্লিশ লাখ টাকা দাবি করেন পুলিশ সদস্যরা। পাঁচ লাখ টাকা জোগাড় করে দিলেও শেষ রক্ষা হয়নি আমার স্বামীর। তাকে তারা ক্রসফায়ার দিয়ে দেয়। ঘটনার দুই মাস পরে এখান থেকে আমাদের বের করে দেয়া হয়। বাড়ি থেকে আমাদের কিছুই নিতে দেয়া হয়নি। পরে ওসি প্রদীপ কুমারকে দলিল দেখালে দলিলটিও তারা নিয়ে নেয়।
অভিযোগ রয়েছে, নূর মোহাম্মদের স্ত্রী লায়লা বেগমকে তার দুই সন্তান সহ বাড়ি থেকে বের করে দেন ওসি। এরপর থেকে বাড়িটি দখলে নেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। নিজের বাড়ি থাকতেও লায়লা বেগম মানুষের বাড়িতে বাড়িতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
জলসা ঘর সম্পর্কে বিস্তারিত নিউজ পড়ুন এই লিংকে ক্লিক করে
ওসি প্রদীপের টর্চার সেলের রোমহর্ষক গল্পঃ
টেকনাফ থা’নায় ওসি (অ’পারেশন) পদে ছিলেন প্রদীপ কুমার দাশ। তার নেতৃত্বাধীন টিমটিকে ‘ওসির টিম’ বলা হতো। এই টিমে থা’নার কয়েকজন কর্মক’র্তাসহ পুরো থা’না এলাকাজুড়ে অনেক সোর্স জ’ড়িত রয়েছেন। থা’নায় এছাড়াও ওসি (ত’দন্ত) বলে আরেকজন ওসি দায়িত্বরত আছেন।
তার টিমের বি’রুদ্ধেও আছে নানা অ’ভিযোগ। তবে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার নেতৃত্বাধীন ওসির টিমের বি’রুদ্ধেই সাধারণ মানুষের অ’ভিযোগ বেশি। এই টিমের নেতৃত্বে থা’নার তিন তলায় ‘ট’র্চার সেল’ পরিচালনার অ’ভিযোগও করেছেন অনেক ভু’ক্তভোগী। এমনই একজন ভুক্তভোগী ফরিদা বেগম ওরফে কাজল।
এ বছরের শুরুতে মা’দক চো’রাচালানের অ’ভিযোগে এই নারীসহ তার ভাই আবদুর রহমান এবং স্বামী আবদুল কাদেরকে আ’টক করেছিলেন ওসি প্রদীপ কুমার দাস। দুই দিন থা’নায় আ’টকে রেখে নি’র্যাতনের পর ফরিদা বেগম ওরফে কাজলকে ইয়াবা দিয়ে কোর্টে চালান দেওয়া হয়। তবে বাঁ’চতে পারেননি কাজলের ভাই আবদুর রহমান এবং কাজলের স্বামী আবদুর কাদের।
পু’লিশের হাতে ধ’রা পড়ার পড়েও কথিত ‘ক্রসফা’য়ারে’ নি’হত হন তারা। এ প্রসঙ্গে ফরিদা বেগম ওরফে কাজল বলেন, ‘ঘর থেকে আমাদের তিনজনকে জো’র করে ধ’রে থা’নায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থা’না ভবনে তিনতলায় একটি কক্ষে আলাদা করে আমাদের ওপর ব্যাপক নি’র্যাতন চালায়।
এসময় আমাকে চোখ মুখ বেঁ’ধে মা’রধর করে। এতে মু’মূর্ষু হয়ে পড়ি। এরপরের দিন ৩শ’ পিস ইয়াবা দিয়ে কক্সবাজার কারাগারে পাঠায়। এসময় আমার গলায় থাকা একটি স্বর্ণের চেইন ছিল সেটি থা’নার কম্পিউটার অপারেটর রাজু জো’র করে নিয়ে নেয়। তখনও জানা ছিল না আমার ভাই আবদুর রহমান এবং স্বামী আবদুর কাদের এর পরিণতি কী হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরের দিন জানতে পারলাম তারা দুইজনকে গু’লি করে হ’ত্যা করা হয়েছে। শুনে আমার হাত-পা অবশ হয়ে পড়ে। ভাই মিস্ত্রি ও স্বামী সিএনজিচালক ছিলেন। কী এমন দোষ ছিল তাদের গু’লি করে মা’রা হয়েছে? আমাদের থাকার মতো একটি ঘরও ছিল না। আমরা কেমন করে ওসির জন্য লাখ লাখ টাকা ঘুষ দেবো?’
তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, ‘এইখানে এমন বর্বরতাই চলছিল ওসি প্রদীপের আমলে।’ এদিকে টেকনাফের স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, বিশ্বস্ত দুটি টিমের মাধ্যমে ওসি প্রদীপ তার সাম্রাজ্য নি’য়ন্ত্রণ করতেন। প্রদীপের টিমের নাম ছিল ‘ওসির টিম’। টিমের সদস্যদের দিয়ে প্রদীপ তার নিজস্ব এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতেন।
ওসি প্রদীপের টর্চার সেল ছিল টেকনাফ থানার ৩য় তলায়
দৈনিক ইনকিলাবের অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদনঃ
* মাদক নির্মূলের নামে যেন টেকনাফ পুলিশের হাতে দেয়া হয়েছে মানুষ হত্যার লাইসেন্স! গত দুই বছরে শুধু টেকনাফে ১৪৪ টি কথিত বন্দুকযুদ্ধের সাজানো ঘটনা ঘটেছে। আর এসব বন্দুকযুদ্ধের নামে ওসি প্রদীপ কুমার ২০৪ জন মানুষ গুলি করে হত্যা করেছে।
* সর্বশেষ ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফে পুলিশের বেপরোয়া গুলিতে নিহত হয়েছেন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এই ঘটনায় দেশজুড়ে এখন তোলপাড় চলছে।
* একটি গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে জানাগেছে, থানার ওসির নির্দেশ ছাড়া কোন অফিসার গুলি চালাতে পারে না। ঘটনার প্রতক্ষ্যদর্শী বিবরণ থেকে গোয়েন্দারা নিশ্চিত হয়েছেন। গুলি করার আগে এসআই লিয়াকত তার মোবাইল ফোন থেকে ওসি প্রদীপের সাথে কথা বলে তার নির্দেশেই সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খাঁনকে গাড়ি থেকে নামিয়ে কোন কথা বলতে না দিয়েই সরাসরি বুকে পর পর তিনটি গুলি করেন।
* এদিকে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) গোপন তদন্ত প্রতিবেদনে স্থানীয় টেকনাফ থানা পুলিশের বিরুদ্ধে সন্দেহভাজন অপরাধীদের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ আনা হয়েছে। এতে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, “হত্যার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত থাকা পুলিশ একজন অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যায়ও কোনরূপ দ্বিধা করেনি।
* বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও স্থানীয়দের ভাষ্যমতে টেকনাফের বির্তর্কিত ওসি প্রদীপের কথিত ক্রসফায়ারের নামে বিচার বর্হিভূত গণহত্যার কারণে পুলিশ যে কাউকে হত্যা করতে দ্বিধাবোধ করছে না। যার শেষ পরিণতি মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খাঁন।
* অভিযোগ রয়েছে ২০১৮ সালের ১৯ অক্টোবর ওসি প্রদীপ টেকনাফে যোগদান করেন। এর পর থেকে গত দুই বছরে শুধু টেকনাফে ১৪৪টি কথিত বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। আর এসব বন্দুকযুদ্ধের নামে ওসি প্রদীপ কুমার ২০৪জনকে গুলি করে হত্যা করেছে।
* মূলত ইয়াবা ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীর ট্যাগ লাগিয়ে নিরীহ এবং অনেক ধনাঢ্য লোকজনকে থানায় ধরে নিয়ে মোটা অংকে অর্থের জন্য চাপ প্রয়োগ করে। যারা টাকা দিতে পারে না তারাই ভাগে জুটে ক্রসফায়ারের নামে নির্মম মৃত্যু। অভিযোগ আছে অনেকের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়ে খুশী হতে না পেরে তাদের বন্দুকযুদ্ধের নাটক সাজিয়ে তাদেকে খুন করেছে ওসি প্রদীপ। বিস্তারিত নিচের লিংকেঃ
টেকনাফ পুলিশের হাতে মানুষ হত্যার লাইসেন্স!
দু’র্নীতি ও অ’নিয়মের সং’বাদ প্রকাশের জে’রে ‘কক্সবাজার বাণী’ পত্রিকার সম্পাদককে মা’দক মা’মলায় ফাঁ’সানোর অ’ভিযোগ উ’ঠেছে টেকনাফ থানার ও’সি প্রদীপ কুমার দাসের বি’রুদ্ধে।
অনুসন্ধানে জানাগেছে , ওই সাং’বাদিকের প’রিবারকে নানাভাবে হ’য়রানি করছেন টেকনাফ থানার ও’সি প্রদীপ কুমার দাস। কোনো পরোয়ানা ছাড়াই ঢাকার পল্লবী থেকে তাকে ধ’রে নিয়ে টেকনাফ থানায় তিন দিন আ’টকে রেখে অ’মানুষিক নি’র্যাতন করা হয়। পরে মি’থ্যা মা’মলা দিয়ে আ’দালতে পাঠানো হয় সাং’বাদিক ফরিদুল মোস্তফা খানকে।
২০১৯ সনে বাংলাদেশ ক্রা’ইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফরিদুল মোস্তফার স্ত্রী হাসিনা আক্তার লিখিত বক্তব্যে এসব অ’ভিযোগ জানান।
তিনি জানান, ‘তার স্বা’মী বিভিন্ন সময় টেকনাফ থানার ও’সিসহ পুলিশ স’দস্যদের নানা অ’নিয়ম ও দু’র্নীতির সং’বাদ প্র’কাশ করেছেন। এ কারণে তাকে ২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মিরপুর এলাকার বাসা থেকে ধ’রে নিয়ে শা’রীরিক নি’র্যাতন করে মি’থ্যা মা’মলায় ফাঁ’সানো হয়েছে।
তার চো’খে ম’রিচের গুঁ’ড়া দিয়ে নি’র্যাতন করায় বর্তমানে দুটি চোখই ন’ষ্ট হওয়ার উ’পক্রম হয়েছে। এ ছাড়া তার হা’ত-পা ভে’ঙে দিয়েছে পু’লিশ। চি’কিৎসক জানিয়েছেন তার এক চো’খ ন’ষ্ট হয়ে যেতে পারে’।
ফরিদুল মোস্তফার মে’য়ে সুমাইয়া মোস্তফা খান স্বাধীন নিউজ২৪কে বলেন, ‘তাদের পরিবারের কেউ কোনো মা’মলার আ’সামি নয়। কখনো তারা কোনো অ’নিয়মে জড়াননি। এরপরও পু’লিশ ঠা’ন্ডা মাথায় তারা বাবাকে মা’মলা দিয়ে সমাজে তাদের প’রিবারটিকে হে’য় করেছে’।
মরিচের গুড়ো দিয়ে ক্রাইম রিপোর্টারের চোখ নষ্ট করা
এবার শুনুন, ক্রাইম স্পেশালিষ্ট সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের বিশেষ ভিডিও ফিচার(এক নজরে ওসি প্রদীপ)
এক নজরে কুখ্যাত খুনী সন্ত্রাসী ওসি প্রদীপ
প্রাসংগিক নিউজ লিংক সমূহঃ
২০১৮ সালের ৪ মে থেকে সারাদেশে মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান শুরু করে সরকার। এতে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায় ক্রসফায়ারের পরিসংখ্যান।
গত ৩০ জুলাই পর্যন্ত শুধু কক্সবাজার জেলায় পুলিশ, বিজিবি ও র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২৮৭ জন। এর মধ্যে পুলিশের সঙ্গে ১৭৪ জন, বিজিবির সঙ্গে ৬২ জন ও র্যাবের সঙ্গে ৫১ জন বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।
আর টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন ১৬১ জন। এর মধ্যে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীর মাধ্যমে ঘটেছে ১৪৪টি ক্রসফায়ারের ঘটনা। এসব ক্রসফায়ারের একটি বড় অংশ সংঘটিত হয় মেরিন ড্রাইভ সড়কে।
ওসি প্রদীপ বন্দুকযুদ্ধের নামে ১৪৪ ক্রসফয়ারে হত্যা করেছেন ১৬১ জন মানুষ
ওসি প্রদীপ ও মর্জিনার ক্রসফায়ার ফাঁদ
মূলতঃ ইয়াবা ব্যবসায়ীদের স্বার্থেই ক্রসফায়ার দিতো ওসি প্রদীপ
টেকনাফ থেকেই যেভাবে ২০০ কোটি টাকা কামিয়েছে ওসি প্রদীপ!
৭৭ লাখ টাকা নেয়ার পরও ‘ক্রসফায়ার’ দিয়েছিলেন ওসি প্রদীপ
কেবল টাকা পেলেই ক্রসফায়ার দেননা ওসি প্রদীপ
আমার অন্য দু'টি প্রাসঙ্গিক ব্লগ পোস্টঃ
মেজর রাশেদ সিংহা হত্যাকাণ্ডঃ অনুসন্ধান ও বিশেষজ্ঞ মতামত
ঔদ্ধ্যত্বপূর্ণভাবে মেজর সিনহাকে হত্যাঃ যা ঘটেছিল সেদিন
♦💖♦ সদয় দৃষ্টি আকর্ষণঃ ♦💖♦
(মতামত/কমেন্ট কোথায় করবেন? )
ফেইসবুক পোস্টের মতোই এখানেও (পোস্টের একেবারে নিচে গিয়ে স্ক্রিনশটে লাল দাগ দ্বারা চিহ্নিত স্থানে)
ভালো মন্দ, পক্ষে-বিপক্ষে কমেন্ট করা যায়।
পাশাপাশি, ওই কমেন্ট বক্সে এই ব্লগের সাথে সম্পৃক্ত যে কোন ধরনের নিউজ লিংকও কমেন্ট পোস্ট করতে পারেন।
আপনাদের মূল্যবান মতামত আমার ব্লগিংয়ের অনুপ্রেরণা । সবাইকে ধন্যবাদ।
👇👇👇 নিচে কমেন্ট বক্স👇👇👇
Comments
Post a Comment