কক্সবাজারের মৌলভী ফরিদ আহমদ এমপিকে হত্যার বিভৎস কাহিনী
-----
বুয়েট ছাত্র ফাহাদ আবরারকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা (০৬-১০-২০১৯) আজ অন্য একজনের কথা মনে করিয়ে দেয়, তিনি ছিলেন মরহুম মৌলভী ফরিদ আহমেদ।
ঠিক একইভাবে তাকেও ঢাকাতে আরেক বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে বাংলাদেশী ছাত্ররাজনীতির মহান নেতৃবৃন্দ নির্যাতন করে হত্যা করেছিলো। তবে সেই নির্যাতন ছিলো অনেক বেশি ভয়াবহ। এতো সংক্ষিপ্ত না।
ঠিক একইভাবে তাকেও ঢাকাতে আরেক বিশ্ববিদ্যালয়ের
নেজামে ইসলাম পার্টির নেতা এবং তখনকার এমপি মৌলভী ফরিদ আহমেদ ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরোধী ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করেন নাই। সুতরাং ১৭ ডিসেম্বর তাকে গ্রেফতার করে লালবাগ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
দুইদিন পর ১৯ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা তাকে থানা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হল, বর্তমান নাম জহুরুল হক হলে নিয়ে যায়। তারপর তখনকার ডাকসু নেতা আসম আবদুর রব, আবদুল কুদ্দুস মাখন এবং তাদের গুরু শেখ কামাল এই তিনজন মিলে ঢাবির তখনকার ইকবাল হলের এক রুমে তাকে বিছানার সাথে বেঁধে কয়েকদিন যাবত তার জীবন্ত শরীর থেকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে চামড়া তুলে নেয়।
ঐ কয়দিনে একে একে তার হাত কাটা হয়, কান কাটা হয়, দুই চোখ উপড়ে ফেলা হয়। তার কাছ থেকে তখনকার সময়ের বারো লক্ষ টাকার ব্যাংক ব্যালেন্স লিখে নেয়া হয়।
দুইদিন পর ১৯ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা তাকে থানা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
ঐ কয়দিনে একে একে তার হাত কাটা হয়, কান কাটা হয়, দুই চোখ উপড়ে ফেলা হয়। তার কাছ থেকে তখনকার সময়ের বারো লক্ষ টাকার ব্যাংক ব্যালেন্স লিখে নেয়া হয়।
পাঁচদিনের একটানা ভয়াবহ নির্যাতনের পর ঐ রুমেই তিনি শেষপর্যন্ত ২৪ ডিসেম্বর মারা যান।
ওই বইটি অনলাইনে পড়তে চাইলে নিচের লিংকে খোঁজ করতে পারেন।
http://reportonline24.com/news/50679
ফেইসবুক ওনার সংক্ষিপ্ত জীবনীঃ
https://www.facebook.com/382699101940339/photos/a.382824638594452/564277810449133/?type=3&app=fbl
--
এই প্রবন্ধে ব্যবহৃত টেক্সট এবং সম্পাদনার জন্য কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি,
বিশিষ্ট অনলাইন এক্টিভিস্ট, ব্লগার, রাজনৈতিক সমালোচক, লেখক ও গভেষক প্রিয় ভাই
Aman Abduhu এর প্রতি। |
Comments
Post a Comment