Skip to main content

কাল্পনিক অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত ডানপন্থী ব্লগারদের দুঃখের দিনের কান্ডারী ফারাবির নিঃশর্ত মুক্তি চাই

ব্লগার শফিউর রহমান ফারাবির অবদান কি ?ব্লগার শফিউর রহমান ফারাবির অনেক কর্ম আছে, তবে আমি এ পোস্টে তার দুটি অবদান নিয়ে কথা বলবো।

প্রথম বলবো, শাহবাগ আন্দোলন নিয়ে। 
শাহবাগ আন্দোলন যে নাস্তিকদের আন্দোলন এটা সর্ব প্রথম প্রমাণ করেছিলো ব্লগার শফিউর রহমান ফারাবি এবং সে জন্য ফারাবি ৬ মাস জেলও খেটেছিলো। 
মূলতঃ শাহবাগ আন্দোলনের মূলে ছিলো নাস্তিক ব্লগারদের জোট সংগঠন ‘ব্লগার অ্যান্ড অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নেটওয়ার্ক’ (বোয়ান)। তারা শাহবাগে আন্দোলন শুরু করে ৫ই ফেব্রুয়ারী, ২০১৩ থেকে। 
যারা ঐ সময় ঢাকায় ছিলেন, তারা সাক্ষী থাকবেন, আন্দোলনের শুরুতেই আন্দোলনটাকে তারা গণমানুষের আন্দোলন হিসেবে রূপ দিতে পেরেছিলো। এত লক্ষ লক্ষ মানুষ শাহবাগে জড়ো হতো, যা কল্পনা করা যায় না। শাহবাগকে কেন্দ্র করে তাদের মানুষের ভীড় একদিকে ঠেকতো মৎস ভবন, অন্যদিকে কাটাবন, একদিকে টিএসসি, অন্যদিকে বাংলামটর। শুধু মানুষ আর মানুষ, সমুদ্রের মত। তারা এমন একটা হুজুগ তৈরী করলো, যেন বাংলাদেশী হতে হলেই শাহবাগ গিয়ে একবার হাজিরা না দিলে হবে না। কত মাদ্রাসার ছেলেরা গিয়ে যে শাহবাগে বসে থাকতো, তার হিসেব নেই।

যাই হোক, ঘটনাক্রমে ১০ দিন পর মানে ১০ই ফেব্রুয়ারী হঠাৎ মারা গেলো শাহবাগ কর্মী ব্লগার রাজীব হায়দার শোভন বা থাবা বাবা। পুরো মিডিয়া মারাত্মক গরম। থাবাকে ঘোষণা করা হলো দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ হিসেবে। 
সে কে ছিলো এটা কিন্তু কেউ তখনও জানে না। তবে মুক্তিযুদ্ধের শহীদের রক্তের বদলা নিতে হবে এতটুকু সবাই জানে।
দলমত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই তার হত্যাকান্ডের বিচারের জন্য শাহবাগে হাজির, তিল ধারণের যায়গা নেই।

থাবা বাবা মারা গিয়েছিলো শুক্রবার রাতে, শাহবাগে তার জানাজা হবে শনিবার বিকাল বেলা। জানাজার ঘণ্টা খানেক আগে ফারাবি তার আইডি থেকে এক বিরাট স্ট্যাটাস দেয়, যেখানে থাবা বাবা কোথায় কখন আল্লাহ, নবী, কোরআন, ইসলামকে কুৎসিত গালি দিয়েছিলো তার বিস্তারিত বর্ণনা ছিলো। তখন ব্লগ ফেসবুক ইন্টারনেট সম্পর্কে বেশি মানুষ জানতো না, সরকারের কাছে প্রযুক্তিও তেমন ছিলো না। তবে ফারাবির দেয়া নিখুত তথ্য অস্বীকার করার মত কোন অবস্থা ছিলো না। মানুষ অবাক হয়েছিলো থাবা বাবার স্ট্যাটাস দেখে। অনেকে বিশ্বাস করতে চাইছিলো না, মানুষ কিভাবে ধর্মকে এত কুৎসিত ও নোংরাভাবে গালাগালি করতে পারে ? ফারাবি তার স্ট্যাটাসে কোন মুসলমান যেন থাবার জানাজা না পরায় সে জন্য শক্ত ভাষায় বলেছিলো।

থাবা মারা যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ হিসেবে থাবা’র মাকে সান্তনা দিতে যায়। যাওয়ার আগে তৎকালীন এক শীর্ষ গোয়েন্দা জিজ্ঞেস করেছিলো, “থাবা ছেলেটা কেমন?” সে ভুল তথ্য দিয়ে বলেছিলো- “খুব ভালো। ” তার দেয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে শেখ হাসিনা থাবার বাসায় যায়। কিন্তু পরবর্তীতে ফারাবির নিখুত তথ্য প্রকাশের পর থাবার সবকিছু ফাস হয়ে যায়। ভুল তথ্য দেয়ার কারণে শীর্ষ গোয়েন্দাকে বরখাস্ত করে শেখ হাসিনা।

মূলতঃ ঐ একটা স্ট্যাটাসে পুরো শাহবাগ আন্দোলন ১৮০ ডিগ্রি টার্ন নিয়ে জনগণের আন্দোলন থেকে নাস্তিকদের আন্দোলনে রূপান্তর হয়। জনসমুদ্র থেকে পরিণত হয় গোটা কয়েক নাস্তিকের আন্দোলনে। আগে না বলতে যেখানে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ মানুষ জড়ো হচ্ছিলো, নাস্তিক ট্যাগ খাওয়ার পরে বিরিয়ানী দিয়েও লোক জোগার হতো না।

এ ঘটনার পর পুরো নাস্তিক কমিউনিটি ফারাবির উপর ক্ষেপে যায়। তাদের এত শখের আন্দোলন ১টা মাত্র স্ট্যাটাস দিয়ে শেষ করে দিয়েছিলো ফারাবি, এটা তারা সহ্য করতে পারছিলো না। তারা ফারাবিকে হত্যাকারী, খুনি জঙ্গী ট্যাগ দিয়ে গ্রেফতার করতে সরকারকে মারাত্মক প্রেসার ক্রিয়েট করে। সরকারও পরিস্থিতি সামাল দিতে তাকে গ্রেফতার করে। কিন্তু ফারাবির বিরুদ্ধে আসলে অভিযোগ তেমন গুরুতর প্রমাণিত হয়নি, আবার আওয়ামীলীগ সরকারের সাথে নাস্তিকদের (ডেমোক্র্যাটিক ব্লক) চরম দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে যায়। ফলে নাস্তিকবিরোধী ফারাবি ৬ মাসের জেল খেটে ২০১৩ এর আগস্টে জামিনে মুক্ত হয়ে আসে এবং নাস্তিকদের বিরুদ্ধে আবার কলম ধরে।

মূলতঃ শাহবাগ আন্দোলন নাস্তিকদের আন্দোলন এবং সেই আন্দোলনের প্রতিক্রিয়ায় তৈরী হয় হেফাজতে ইসলামের ‘শাপলা চত্বর আন্দোলন’। তবে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের একদম গোড়া মানে ভিত্তি কিন্তু তৈরী হয়েছিলো ফারাবির সেই স্ট্যাটাসের মাধ্যমেই।

দ্বিতীয় অবদান ২০১৪ সালের মার্চের। 
তখন অনলাইনে বইবিক্রির বেশ জমজমাট প্ল্যাটফর্ম হয়ে গেছে রকমারি ডট কম।
তখন রকমারির মালিক মাহমুদুল হাসান সোহাগও একটু নাস্তিক ঘরোনার লোক।
সেও সাবেক বুয়েটিয়ান, আবার অভিজিত রায়ও সাবেক বুয়েটিয়ান। 
রকমারির শুরুতে বেশ ভালো স্থানে যায়গা করে দেয়া হলো অভিজিতের বিশ্বাসের ভাইরাস নামক বইটিকে।
নাস্তিকদের বেশি লোক চিনতো না, কিন্তু রকমারির প্রথম পাতায় এসব বই ঝুলিয়ে রাখলে স্বাভাবিকভাবে তার বিক্রি ও প্রচার অনেক বেড়ে যাবে। এটা অনুধাবন করে তৎক্ষণাৎ শক্ত প্রতিবাদ করেছিলো ব্লগার শফিউর রহমান ফারাবি।
মাত্র ৭ মাস আগে জেল থেকে মুক্ত হওয়া ফারাবি নিজের মায়া ত্যাগ করেই ফেসবুকে শক্ত প্রতিবাদী স্ট্যাটাস দেয়।
কাজও হয়। 
মাহমুদুল হাসান সোহাগ মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নাস্তিকদের বই রকমারি থেকে সরিয়ে দেন।
নাস্তিক কমিউনিটি থেকে একযোগে শুরু হয় তীব্র প্রতিবাদ। 
সবাই রকমারিকে বয়কট করতে বলে।
সোহাগ নিজে নাস্তিক হওয়ার পরও তার সাথে নাস্তিকদের দ্বন্দ্ব লেগে যায়।
সেখান থেকে একটা সময় নিজেই নাস্তিকতা থেকে সরে যান মাহমুদুল হাসান সোহাগ,
হয়ে যান আস্তিক ও দাড়ি-টুপি পরিহিত ধার্মীক।

আজকে অনেকে রকমারিতে ইসলামিস্টদের বইয়ের প্রচার দেখে উৎফুল্ল হয়,
কিন্তু ফারাবির সেই দিনের ঘটনা যদি না ঘটতো, তবে বর্তমানটা এমন নাও হতে পারতো।
ইসলামিস্টদের বইয়ের বদলে হয়ত শোভা পেতো নাস্তিকদের বই।

যাই হোক,
আমার কাছে মনে হয়েছে ফারাবিকে যাবজ্জীবন দেয়ার পেছনে খুব শক্ত আইনি ভিত্তি নেই।
কারণ সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইবুনালের মামলায় সে অভিজিতের হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত এমন প্রমাণ পাওয়া যায়নি, তার অপরাধ সে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলো, এজন্য তার যাবজ্জীবন হয়েছে।
(https://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article1859979.bdnews)
অথচ ২০১৯ সালে সাইবার ট্রাইবুনালের আইসিটি মামলায় সে কিন্তু অপরাধী হিসেবে সাব্যস্ত হয়নি,
আদালত তাকে খালাস দিয়েছে।
(https://www.jagonews24.com/law-courts/news/492939)
তার মানে, আইসিটি মামলায় সে নিরাপরাধ বলে সাব্যস্ত। 
এটা তার মুক্তির জন্য একটা বড় দলিল। কিন্তু যেহেতু সে আর্থিক অসমর্থিত থাকার কারণে মামলায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি, তাই সে আইনী লড়াই করে মুক্তিও পেতে পারেনি।

আমার আরো মনে হয়,
ফারাবির মুক্তি পাওয়া সম্ভব। 
উচ্চ আদালতে এখনও আপীল করার সুযোগ রয়ে গেছে।
তবে এজন্য মুসলিম সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।
ফারাবির মুক্তির জন্য মাঠেও আন্দোলন করতে হবে আবার কোর্টেও মুভমেন্ট করতে হবে।
দুই রাস্তায় এক সাথে অগ্রগামী হলেই তাকে মুক্ত করা সম্ভব।

মূল কথা হলো-
মাকে নিয়ে বাজে কথা বলেছিলো দুষ্ট লোক,
এক সন্তান তার জোর প্রতিবাদ করেছে, জেলেও গিয়েছে।
অন্য সন্তানরা যদি এখন তার পাশে এসে না দাড়ায়,
তবে মায়ের কাছে মুখ দেখাবে কিভাবে ?
নিজেকেই নিজে জিজ্ঞেস করুক।

---
আমি ব্লগার শফিউর রহমান ফারাবির মুক্তি চাই। 
তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দেয়া হোক।
#Free_Farabi
#Free_Shafiur_Rahman_Farabi
#Stop_INJUSTICE_On_Farabi
#JUSTICE_For_Farabi
© নয়ন চ্যাটার্জী


Noor Hossain ভাইয়ের পোস্টঃ

ফারাবী ভাইকে বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি কাছ থেকে দেখেছে এমন কিছু ক্যাম্পাসের মোস্ট সিনিয়র ভাইয়ের কাছে তার সম্পর্কে জানতে চেয়েছি গত দুইদিন। সবার ভাষ্য মোটামুটি এরকমই যে তিনি অত্যন্ত নম্র ও ভদ্র স্বভাবের ছিলেন। মূলধারার ইসলামপন্থীদের প্রায় সবার সাথে তিনি মিশতেন এবং তাদের সাথে ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক বজায় রাখতেন। নির্দিষ্ট কোন দলকানা মেন্টালিটির ছিলেন না তিনি। তাহলে তিনি ফাঁসলেনটা কেন?

মূলত তিনি অত্যন্ত পড়ুয়া ও ট্যালেন্ট মানুষ ছিলেন, লেখালেখির হাত ও ছিল দারুণ, যুক্তিতে ছিলেন ক্ষুরধার। নাস্তিকরা যখন ইসলামকে ১৩-১৪ সালের উত্তাল সময় বানিয়েছিল আক্রমনের মূল কেন্দ্রবিন্দু, রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আম্মাজানদের বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালাগাল করা হয়ে উঠেছিল তাদের নিত্যদিনকার অভ্যাস। ঠিক তখনই ফারাবী ভাইয়ের আবির্ভাব ঘটে সম্মুখ সারির যোদ্ধা হিসেবে। একাই নাস্তানাবুদ করছিলেন ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক ও শাতিমে রাসূলদের।

মূলত ফারবী ভাই যে জিনিসটা একেবারেই সহ্য করতে পারতেন না সেটা হলো রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আম্মাজানদের বিরুদ্ধে করা কটূক্তি ও গালিগুলো। এবং তিনি তখন আক্রমণাত্নক স্ট্যাটাস দিতেন রাগে ও ক্ষোভে। এবং এটাই একজন মুসলমানের জন্য স্বাভাবিক আচরণ হওয়া উচিত তখনকার পরিস্থিতিতে। কিন্তু আমরা সবকিছুতেই হিকমাহ অবলম্বনের দোহাই দিয়ে কাপুরুষোচিত জীবন বেছে নিয়েছি। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে হিকমাহ অবলম্বনের নামে যে আমরা আল্লাহর সাথে ও তার দ্বীনের সাথে প্রতারণা করছি সেটা আমাদের মাথায়ই ঢুকছে না!

যাইহোক, বর্তমানে যুবসমাজের মাঝে ইসলামের বিষয় নিয়ে জানার একটা আগ্রহ তৈরি হয়েছে এর পেছনে প্রত্যক্ষভাবে ফারবী ভাইয়ের বিরাট অবদান আছে। ১৭-১৮ সালের দিকে যখন নাস্তিকতাবিরোধীবইগুলো ইসলামি প্রকাশনা জগতের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। আলোচনায় উঠে আসে আরিফ আজাদ, আসিফ, শক্তি, রাফান, মিনার ভাইদের মতো একঝাঁক মেধাবী মুখ। আর এ ঘুরে দাঁড়ানোর যে ভিত্তি তৈরী হয়েছিল তার প্রথমদিকের মূল কারিগরটা ছিলেন কিন্তু ফারবী ভাই। যার ফলশ্রুতিতে বুকে সাহস নিয়ে কিছু সময় পর মাঠে তৈরী হয়ে যায় একাডেমিক ফিল্ডে একপাল অগ্রসেনানী। আর এর ফল জাতি দেখতে শুরু করছে গত বছর দুয়েক ধরে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শত সহস্র যুবকের যে অভাবনীয় চিন্তার জগতের পরিবর্তন হচ্ছে তার মধ্যে দিয়ে। এ পরিবর্তনের মূল ভিত্তি কিন্তু রচিত হয়েছে সেই ২০১৩ তেই....

যাইহোক, ইসলামের ১৪০০ বছরের ইতিহাস পড়ে আমি যে জিনিসটা বুঝেছি সেটা হলো আমি যাদেরকেই ইসলামের বীর,মহান ঈমাম,আলেম, যোদ্ধা হিসেবে পেয়েছি প্রতি মুহূর্তে স্মরণ করি যাদের জীবনীর, যাদের নাম বেঁচে চলছে অসংখ্য ব্যক্তি ও দল সেই মহান মানুষগুলো কিন্তু তাদের সমাজে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কাতারেই ছিলেন। তাদের পাশে না সমাজ ছিল, না সমাজের মানুষ ছিল আর না তৎকালীন নেতৃবৃন্দ ছিল। কিন্তু সেই বিচ্ছিন্ন সমাজবিচ্যূত মানুষগুলোই পরবর্তী প্রজন্মের দুয়ার মধ্যমণি হয়েছে আর আমাদের মতো নিরপেক্ষতার নামে ভন্ডামি করা মানুষগুলো ইতিহাসের অতল গহ্বরে হারিয়ে গিয়েছে। ঠিক একই কাজটা বর্তমানে ও হচ্ছে কিন্তু আমরা বুঝতে পারছি না!

এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জার যে ভাইটা একটা মুসলমানদের দেশের নাগরিক হয়ে কলম ধরেছিল শাতিমে রাসূলদের বিরুদ্ধে আর তিনিই একটা আইনজীবী নিয়োগ করতে পারেন নি টাকার অভাবে! কি হবে এত ওয়াজ-মাহফিল,
আলেম-উলামা,বক্তা-শ্রোতা,মসজিদ-মাদ্রাসা দিয় যেখানে একজন নবীপ্রেমীককে রক্ষা করতে আমাদের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই।আরে এই মানুষগুলো তো আল্লাহকে সন্তুষ্ট করে ফেলছে তাদের চিন্তার তো কিছু নেই তাই তারা হাসে কিন্তু আমরা তো এদিকে নফসের খায়েশের কাছে দ্বীনকে বিক্রি করে দিয়েছি সে খেয়াল কি আমাদের আছে?

আহ! উম্মাহ....
AJ Talks

পোস্টের লিংক


ফারাবীরা হারলে হারবে বাংলাদেশঃ

ব্লগার শফিউর রহমান ফারাবির সাথে অভিজিৎ রায়ের দ্বন্দ্ব হয়েছিলো মহানবীর স্ত্রী হযরত মারিয়া কিবতিয়া (রদিঃ) কে নিয়ে। অভিজিৎ রায় হযরত মারিয়া কিবতিয়া (রদিঃ)কে দিয়ে কটূ কথা বলেছিলো, চরিত্রে অপবাদ দিয়েছিলো। ব্লগার শফিউর রহমান ফারাবি অনলাইনে তার প্রতিবাদ করেছিলো।

মুলমানদের ধর্মগ্রন্থে নবী স্ত্রীদেরকে ‘মুসলমানদের মা’ বলে সম্বোধন করা হয়েছে। 
স্বাভাবিক এক জন মায়ের সম্পর্কে কেউ যদি কটূ কথা বলে কিংবা চরিত্রে অপবাদ দেয়,
তবে সকল সন্তানেরই মাধা গরম হওয়া স্বাভাবিক। মুখে যা আসে তাই বলা স্বাভাবিক।
“তুই আমার মায়ের বিরুদ্ধে কেন বললি, তোকে আমি দেখে নেবো”
এটা তো খুব কমন কথা।
ব্লগার শফিউর রহমান ফারাবিও তাই করেছেন।
ব্লগার শফিউর রহমান ফারাবি যে অভিজিৎ হত্যায় কোনভাবে জড়িত ছিলো না,
সেটাও কিন্তু কোর্টে প্রমাণিত হয়েছে।
তাহলে কোন দোষে ফারাবিকে যাবজ্জীবন দেয়া হলো ?
শুধুমাত্র মায়ের অপমানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার কারণে ??

তাহলে অভিজিৎ যখন মাকে অপমান করলো তখন রাষ্ট্র কি করলো ?
রাষ্ট্র কেন অভিজিতের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিলো না ?
তার ওয়েসসাইট-ব্লগ বন্ধ করলো না,
তার পরিবারের মাধ্যমে তাকে চাপ দিলো না ??
রাষ্ট্রের আইনেও তো ধর্মীয় কটূক্তি নিয়ে আইন আছে।
রাষ্ট্রধর্ম তো ইসলাম, সেই ধর্মের অবমাননা করাও তো রাষ্ট্রদ্রোহীতা
রাষ্ট্র চুপ ছিলো বিধায় তো ফারাবি এগিয়ে এসেছে।
রাষ্ট্র নিজেই যদি এগিয়ে আসতো, তবে ফারাবিদের তো কিছু বলার দরকার থাকতো না।
এটা তো রাষ্ট্রের দোষ, ফারাবির কোন দোষ তো দেখি না।

এছাড়া আমার মনে হয়, ফারাবি তার আত্মপক্ষ সমর্থনের যথেষ্ট সুযোগ পায়নি। 
ফারাবি’র বাবা-মা কেউ ছিলো না। 
তার একমাত্র বলতে ছিলো সৎ মা। 
সেই স্বামীহীন মায়ের সংসার চালানোর টাকা নেই,
ধারকর্য করে দুই-একবার উকিল দাড় করাতে পেরেছিলো,
এরপর আর উকিল ধরতে পারেনি। 
এরপর টানা ৬ বছর মামলা চললো, ফারাবির পক্ষে কেউ দাড়ালো না।।
তার পক্ষে বলার কেউ নেই। 
কোর্টে বিচারের দিন আনলে সে হাত পেতে মানুষের কাছে ৫০ টাকা চাইতো।
আর বলতো- “জেলে খুব কষ্টে আছি ভাই । জেলে বেচে থাকতেও তো টাকা লাগে, সেটাও নেই। উকিল ধরা তো অনেক পরের বিষয়।”
আসলে নাস্তিকরা মামলা খেলে তাদের বাচানোর জন্য ড. কামালের মেয়ের ব্লাস্ট আছে, হিন্দুরা মামলা খেলে তাদের বাচানোর রবীন্দ্রঘোষের মাইনোরিটি ওয়াচ আছে। এরা সবাই ফ্রি সার্ভিস দেয়। কিন্তু সংখ্যাগুরু মুসলমানের দেশে মায়ের অপমানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারীর সন্তানের পক্ষে বলার জন্য ১ জন স্বেচ্ছাসেবী আইনজীবি নাই।

আরো কষ্ট লাগে যখন দেখি,
যখন দেখি বড় বড় খুনির আসামীরা রাষ্ট্রীয় মাফ পেয়ে বুক ফুলায় দেশে বিদেশে ঘুরে বেড়ায়।
কিন্তু মায়ের অপমানের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র লেখনী প্রতিবাদ করায় মওকুফ পায় না ফারাবি,
৬ বছর আটকাবস্থায় বিচার শেষে আবার চাপিয়ে দেয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

যেহেতু ফারাবি অভিজিৎ হত্যায় জড়িত ছিলো তা বিচারেই প্রমাণিত হয়নি।
এছাড়া আর্থিক অসমর্থ হওয়ার কারণে সে আত্মপক্ষ সমর্নেরও যথেষ্ট সুযোগ পায়নি। 
তাই রাষ্ট্রীয় নিষ্ক্রিয়তার কারণে হীতাহিত জ্ঞানশূণ্য হয়ে শুধুমাত্র মায়ের অপমানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় তার যাবজ্জীবনের বিষয়টা কিছুতেই ন্যায্য হতে পারে না। এটা ইনজাস্টিস। 
আমি ব্লগার শফিউর রহমান ফারাবির মুক্তি চাই। 
তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দেয়া হোক।
#Justice_for_Farabi
#freefarabi
#Free_Farabi
#Free_Shafiur_Rahman_Farabi
#Stop_INJUSTICE_On_Farabi#

#Copy_Post

(পোস্টে প্রাইভেসি থাকায় কার্টেসি দিলামনা)


Mahfuj Mohon ভাইয়ের পোস্ট-১


Mahfuj Mohon ভাইয়ের পোস্ট-২


Comments

Popular posts from this blog

সচিবালয়কে 'হিন্দু-আলয়' -এ রূপান্তর! নেপথ্যে কারা? কি হতে চলেছে বাংলাদেশে?

জাপানে বাংলাদেশী রসায়ন বিজ্ঞানীর অনন্য আবিষ্কারঃ করোনার 'সাময়িক প্রতিরোধ' ও "চিকিৎসা" কেবল ১টি মাত্র ওষুধেই ( One Medicine Treatment)