পিবিআই বনাম র্যাব: বহিঃশক্তির গোলামদের বিজয় ও মানবতার পরাজয়!
( RAB কর্ত্তৃক ৩ সপ্তাহ বয়সী শিশুকে আইনতঃ অভিভাবকহীন করার প্রতিকী ছবি)
অপহরণের অভিযোগ ও #পিবিআইয়ের_তদন্ত
= ! =
টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের লালা অং চাকমার মেয়ে লাকিং মে চাকমা স্থানীয় একটি স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।
গত বছরের জানুয়ারি মাসের ৫ তারিখ সন্ধ্যায় তাকে কয়েকজন অপহরণ করে বলে সেসময় অভিযোগ তোলেন মেয়েটির বাবা লালা অং চাকমা। টেকনাফ মডেল থানায় মামলা করার চেষ্টা করলেও সেসময় পুলিশের কাছ থেকে আশানুরূপ সহায়তা না পেয়ে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তিনি মামলা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে তিনজন আসামীর নাম উল্লেখ করে এবং আরও কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামী করে লালা অং চাকমা বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
ট্রাইব্যুনালের বিচারক ঐ অপহরণের ঘটনার তদন্ত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন, পিবিআই'এর কাছে হস্তান্তর করেন।
পিবিআই অগাস্ট মাসে তদন্ত শেষে তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাতে বলা হয় যে সেসময় মেয়েটি ''নিজে থেকেই অজ্ঞাত স্থানে চলে যায়'' এবং যাদের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের ''অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়নি।''
ধৈর্য সহকারেে পড়ুন BBC বাাংলার ফিচার রিপোর্ট
পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভুক্তভোগী লাকিং মে চাকমার স্বামীর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হলে লাশের মালিকানা দাবি করে আদালতে আবেদন করার বিষয়টির সত্যতা পাওয়া যায়।
তবে জানুয়ারি মাসে ভুক্তভোগীর বাবা মামলায় যে তিনজনের নাম উল্লেখ করেছিলেন, মেয়েটির স্বামী তাদের মধ্যে কেউ নন।
ভুক্তভোগীর স্বামীর বড় ভাই জানান তার ছোটভাইয়ের সাথে লাকিং মে'র বিয়ে হয়েছে, এই খবর তিনি বিয়ের পরে জানতে পারেন।
তিনি জানান, "এ বছরের শুরুর দিকে কুমিল্লায় তাদের বিয়ে হয়। সেসময় মেয়ে ধর্মান্তরিত হয়েছে বলেও আমরা জানতে পারি।"
তবে তার ছোট ভাইয়ের সাথে লাকিং মে'র বিয়ে হওয়ার কথা বললেও কীভাবে এবং কবে তাদের পরিচয়, বা কীভাবে তাদের বিয়ে হয়েছে এসব সম্পর্কে বিস্তারিত তার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি বা পরিষ্কার করে কিছু বলেননি।
১০ই ডিসেম্বর সামান্য পারিবারিক কলহের জের ধরে লাকিং মে বিষ পান করে বলে জানান তিনি। পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে লাকিং মে'কে তিনি নিয়ে যান।
তিনি জানান, "তার সুরতহাল করার পর আমরা জানতে পারি লাশ আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে না, কারণ তার বাবাও লাশের জন্য আবেদন করেছেন।"
ওই ঘটনার পর কক্সবাজার সদর থানার এসআই আবদুল হালিম বিবিসি বাংলাকে বলেছিলেন, "মেয়েটির বাবা তার জন্ম নিবন্ধন সনদ জমা দিয়েছেন, যা অনুযায়ী মেয়েটির বয়স ১৫ বছরের বেশি নয়। আবার তার স্বামীর পরিবারের পক্ষ থেকেও একটি এফিডেভিট করে বিয়ের সার্টিফিকেট দেয়া হয়েছে। যার মাধ্যমে মেয়েটির বয়স বোঝা না গেলেও প্রমাণিত হয় যে সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিল।"
*** নিচের লিংকে ক্লিক করে রোমহর্ষক সব তথ্যাবলী সম্বলিত আমার এই ব্লগ পোস্টটি পড়ুন; দেশের বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারবেন।
Comments
Post a Comment