স্বজাতি রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরাতে মরিয়া মাস্টার মুহিব্বুল্লাহ সাহেবকে শেষ পর্যন্ত জীবনটাও হারাতে হলো মানবতার দুশমন, দক্ষিণ এশিয়ার খুনী চক্রের হাতে
এ ব্যাপারে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নির্ভরযোগ্য অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের তথ্যভিত্তিক পোস্টগুলো আমরা এখানে আপনাদের জন্য সংযুক্ত করলাম।
পাশাপাশি, মেইনস্ট্রিম মিডিয়া ও অন্যান্য মিডিয়া থেকে প্রাপ্ত ছবি, নিউজ লিংক ও ভিডিওগুলি এখানে পর্যায়ক্রমে সংযুক্ত করা হবে ইনশাআল্লাহ।
"শরণার্থীদের অধিকার রক্ষাকারী রোহিঙ্গা কর্মীদের সুরক্ষার জন্য বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে আন্তর্জাতিক সহায়তায় জরুরি ব্যবস্থা নেয়া উচিত।"
- হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলি/ মানবজমিন, ৬ অক্টোবর ২০২১
জুলুমের মাধ্যমে কেউ নিহত হলে সহীহ হাদিস অনুযায়ী নিঃসন্দেহে তিনি #শহীদ (#মাস্টার_মুহিব্ব
----
গুরুত্বপূর্ণ একটা পয়েন্টঃ
আমার লিস্টের কয়েকজনও দেখলাম একটা বানোয়াট অভিযোগ করছেন, উনি নাকি ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নালিশ দিতে গিয়েছিলেন! লিংকঃ
আরে মিয়া! নালিশ দিতে প্রিয়া শাখা গিয়েছিল, উনি না। ওনি গিয়েছিলেন ট্রাম্পের কাছে "নিরাপদে" ঘরে "ফিরার ও থাকার" বন্দোবস্ত করার আবেদন জানাতেই, বাংলাদেশে থেকে যাওয়ার আবদার করতে নয়।
ওখানে গিয়ে ওনি কি মহাভারত অন্যায় করেছিলেন? নাকি উনার উচিত ছিল নেতানিয়াহু কিংবা বিক্রেতা মোদির কাছে যাওয়ার? (আবারো বলছি, না জেনে, না বুঝে মানুষকে অপবাদ দেওয়া মোনাফেকি এবং কুফরি দুটারই ক্রিস্টাল ক্লিয়ার আলামত। কাজেই, সাবধান হোন।)
----
মূলতঃ পেশায় একজন শিক্ষক, সহজ সরল ব্যক্তিত্ব ও দেশান্তরিত হওয়া আরাকানি মুসলিম তথা সাধারণ রোহিঙ্গাদের এই প্রাণপ্রিয় নেতাকে প্রাণ দিতে হয়েছে "বাংলাদেশি প্রো ইন্ডিয়ান সামরিক গোয়েন্দা ও একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার যোগসাজশে" জনম জনম ধরে এদেশে চিরকাল ইয়াবা, অস্ত্র ও চোরাচালান ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে দেশে ফিরতে অনাগ্রহী "গুটিকয়েক ওগ্র সন্ত্রাসী রোহিঙ্গা অস্ত্রধারীদের হাতে।"
না বুঝলে এটা আবারো পড়ুন, "বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদেরকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো ও পরবর্তীতে তাঁদের নিজ দেশে নিরাপদে অবস্থান ও নাগরিকত্ব আদায়(কারণ মায়ানমার তাঁদের নাগরিকত্ব দিচ্ছেনা)" করার লক্ষ্যে অবিরাম বহুমুখী আন্তর্জাতিক লবিং করার অপরাধেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। যারা হত্যা করেছে, তারা "বাংলাদেশি প্রো ইন্ডিয়ান সামরিক গোয়েন্দা ও একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার সাথে" অবৈধ অর্থের নিয়মিত ভাগবাটোয়ারা করে থাকে।
*** #ভেরিফাইড_ইনফো ***
উপরোক্ত পোস্ট এর স্বপক্ষে জ্বলন্ত প্রমাণ নিচের ভিডিওটিঃ
রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ খুন
.
রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে (৪৮) খুন করা হয়েছে। তিনি আরাকান রোহিঙ্গা
রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে (৪৮) খুন করা হয়েছে। তিনি আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (ARSPHR) এর চেয়ারম্যান ছিলেন। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের চেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছিলেন তিনি।
গতকাল (বুধবার) এশার নামাজের পর তিনি লম্বাশিয়া ক্যাম্পে কয়েকজন রোহিঙ্গার সঙ্গে গল্প করছিলেন। রাত সাড়ে আটটার দিকে তাঁর উদ্দেশ্যে পাঁচটি গুলি করা হয়, যার তিনটি গুলি বুকে বিদ্ধ হয়। তাঁকে উদ্ধার করে এমএসএফ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
তাঁকে রোহিঙ্গারা ‘মাস্টার মুহিবুল্লাহ’ বলে ডাকত। তিনি মিয়ানমারে স্কুল শিক্ষক ছিলেন। মিয়ানমার আর্মির প্রাণঘাতী দমনপীড়নের মুখে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে দেশটির রাখাইন রাজ্য থেকে রোহিঙ্গারা পালিয়ে বাংলাদেশে আসে। সে সময় বাস্তুচ্যুত অন্য রোহিঙ্গাদের সঙ্গে তিনিও এ দেশে এসেছিলেন।
২০১৯ সালের ১৭ জুলাই তিনি রোহিঙ্গা প্রতিনিধি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সাথে দেখা করেছিলেন (যেখানে বাংলাদেশের প্রিয়া সাহা আলোচনায় এসেছিলেন)।
২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট তিনি উখিয়ায় কয়েক লাখ রোহিঙ্গাকে নিয়ে মহাসমাবেশ করেছিলেন। গণহত্যাবিরোধী ঐ সমাবেশ বিশ্বের নজর কেড়েছিল। সমাবেশে তিনি রোহিঙ্গাদের নাগরিত্ব, রাখাইনে ফেলে আসা জন্মভিটা ফেরতসহ সাত দফা দাবী উপস্থাপন করেছিলেন। রোহিঙ্গারা এখনো ঐ সকল দাবিতে অনড় রয়েছে।
এর পূর্বে তিনি জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি মিয়ানমারে রোহিঙ্গা গণহত্যার বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
আজ এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “রোহিঙ্গা নেতা আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস এন্ড হিউম্যান রাইটস এর চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাকে কক্সবাজারের উখিয়া লাম্বাশিয়া রোহিঙ্গা শিবিরে গুলি করে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে নিরাপত্তা দিতে বর্তমান সরকারের ব্যর্থতার আরও একটি কু-নজীর।
রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ যিনি রোহিঙ্গাদেরকে স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য অত্যন্ত সোচ্চার ছিলেন, তাকে গুলি করে বর্বরোচিত কায়দায় হত্যার ঘটনায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও মর্মাহত। আমি এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। মহিবুল্লাহ রোহিঙ্গাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পক্ষে বিশ^ সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায়ের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। রোহিঙ্গা শিবিরে তাকে নির্মমভাবে প্রকাশ্যে হত্যার ঘটনা বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি চরমভাবে বিনষ্ট হয়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদেরকে নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে ব্যর্থ এই সরকার দেশে আশ্রিত শরণার্থীদেরকে নিরাপত্তা দিতেও সম্পূর্ণরুপে ব্যর্থ হয়েছে।
দেশে যে জান-মালের কোন নিরাপত্তা নেই, আইন শৃঙ্খলার কোন বালাই নেই, তার নিকৃষ্ট প্রমাণ হলো উখিয়ায় রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাকে গুলি করে হত্যা। এই সরকারের শাসনামলে অপরাধ করেও বিচার হয়না, কিংবা বিচার হলেও সরকারী আনুকুল্যে অপরাধীরা ছাড়া পেয়ে যায় বলেই দ্বিগুণ উৎসাহে অপরাধ করতে উৎসাহী হয়।
নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের পক্ষে বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ যদি সংরক্ষিত এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নির্মমভাবে নিহত হন তাহলে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ ও মানুষ কতটা নিরাপত্তাহীন, তা সহজেই অনুমেয়।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিরোধীচক্র ও বিপথগামী একটি পক্ষ পরিকল্পিতভাবে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে হত্যা করেছে। নিহত মুহিবুল্লাহর পরিবার ও অন্য রোহিঙ্গারা এমনটি দাবি করেছেন। এদিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখনও কোনও মামলা হয়নি।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহর লাশ কক্সবাজার জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মুনীর উল গীয়াস জানান, নিহতের ভাই হাবিবুল্লাহর কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। এরপর পুলিশি পাহারায় লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি উখিয়ার লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। সেখানে জানাজা শেষে মুহিবুল্লাহকে দাফন করা হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, 'রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ নিহত হওয়ার পর প্রতিটি ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য বাড়ানো হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তার লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করলে মামলা রুজু করা হবে। আমরা এখনও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ না পেলেও হামলাকারীদের ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে বলে জানান তিনি।
হত্যাকাণ্ডের শিকার কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গাদের শীর্ষস্থানীয় নেতা মো. মুহিবুল্লাহর দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকালে উখিয়ার কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্প-১ ইস্ট ২ নম্বর কেন্দ্রে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় হাজারো মানুষ অংশ নেয়।
এর আগে, বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে কুতুপালং মেগা ক্যাম্পের মধ্যে লম্বাশিয়ায় অবস্থিত এআরএসপিএইচ কার্যালয়ে একদল অস্ত্রধারী গুলি করে হত্যা করে রোহিঙ্গাদের এ নেতাকে। ৯ সন্তানের জনক ছিলেন মুহিবুল্লাহ। মিয়ানমারে থাকতে তিনি একটি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন বলে ক্যাম্পের বাসিন্দারা জানিয়েছেন। তিনি ‘মাস্টার মুহিবুল্লাহ' নামেও পরিচিত।
উখিয়া-টেকনাফ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাকিল আহমেদ বলেন, 'উখিয়া লম্বাশিয়া ক্যাম্পে জানাজা শেষে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। পাশাপাশি ক্যাম্পে যেকোনও বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।'
জানাজায় অংশ নেওয়া ক্যাম্পে আশ্রিত রোহিঙ্গা আকবর আলী বলেন, 'মুহিবুল্লাহর চলে যাওয়াতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিশাল ক্ষতি হয়েছে। সেটি কখনও পূরণ হবে না। তিনি খুব ভালো মানুষ ছিলেন। রোহিঙ্গাদের অধিকারে কাজ করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন।'
MD Osman টুইটারে লিখেছেনঃ
ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। 😢😢😢
কিন্তু ক্যাম্পে হচ্ছেটা কি আসলে? এই পৈচাশিক কাজ কারা করলো! কি তাদের পরিচয়? কার ইন্ধনে, কাকে খুশি করার জন্য এই আত্মঘাতী, অমানবিক কাজটি করলো এরা! এদেরকে চিহ্নিত করে তাদের শেকড় মূলোৎপাটন করা অত্যন্ত জরুরী।
Mma Secario
রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ আততায়ীর গুলিতে নিহত।এর আগেও বাংলাদেশে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা,চোরাকারবারি ও সম্পদশালী লোককে হত্যা করা হয়েছে।
এখানে সুস্পষ্টই রাজনীতি আছে,ভূ-রাজনৈতিক গেম আছে।কার স্বার্থে করা হয়েছে তাও সুস্পষ্ট নয়,আমরা অনেক কিছু জানিওনা।আমরা ওয়াকিফহাল, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি আছে রোহিঙ্গাদের নিয়ে,কিন্তু কিছুই করার নেই!
সরকারের রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের চেয়েও আর্থিক লাভের ধান্ধা বেশী। সক্ষমতা যখন নেই তখন নিজ দলীয় স্বার্থই প্রাধান্য পেয়েছে আওয়ামী লীগের কাছে।
গত চল্লিশ বছরে দফায় দফায় লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা ওপার থেকে এসেছে,আর ফিরে যায়নি।একটা অমিমাংসিত ইস্যু দশকের পর দশক জিইয়ে রাখা শুধু বিপদজনকই নয় আমাদের স্বাধীন অস্তিত্ব নিয়েও টানাটানি শুরু হবে ভবিষ্যতে ।কিন্তু আমরা জেনেও কিছু করতে পারছি না।
প্রাসঙ্গিক ভিডিও সমূহঃ
ARSA এর খুনোখুনি সম্পর্কে BBC Bangla এর অনুসন্ধানী প্রতিবেদনঃ লিংক
Comments
Post a Comment