ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানো কি বাংলাদেশে আইনতঃ অপরাধ? অবশ্যই নয়। বরং এটি প্রতিটি নাগরিকের সাংবিধানিক কর্তব্য।
১৯৭১ সালে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতা যোদ্ধারা এবং তাঁদের লবিস্টগণ আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু পরিবার এবং পার্সোনালি বঙ্গবন্ধুর সাথে ইয়াসির আরাফাত ও পিএলও আন্দোলনের নেতাদের যুগপৎ সম্পর্ক ছিল।
বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে ইয়াসির আরাফাতের ব্যক্তিগত সম্পর্কটা ছিল অনেকটা আমাদের বাংলাদেশী সংস্কৃতিতে তুই-তুকারি লেভেলের! জেনারেল ইয়াসির আরাফাতের শাহাদাতের পর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক আবেগঘন সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন যে, তিনি এবং তার অন্যান্য ভাইবোনেরা ইয়াসির আরাফাতকে আমাদের ছোট বাচ্চারা যেভাবে বড়দের চাচ্চু বা আংকেল বলে সম্বোধন করতেন সেভাবেই ডাকতেন। পাশাপাশি, নিজেদের পরিবারের সত্যিকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ, ঘনিষ্ঠ আত্মীয় হিসেবেই জানতেন।
(রাজনৈতিক ইস্যুগুলি এখানে অপ্রাসঙ্গিক)
সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই না জেনে কাল্পনিকভাবে ভীতি ছড়াচ্ছেন যে, ফিলিস্তিন এর স্বাধীনতার পক্ষে হ্যাসট্যাগ ব্যবহার করলে কিংবা ফিলিস্তিনের পতাকায় উত্তোলন করলে ঝামেলা হতে পারে কিংবা কেউ আইন শৃংখলা বাহিনী কর্তৃক হয়রানির শিকার হতে পারেন!
এটি একটি টোটালি বানোয়াট এবং কল্পনাপ্রসূত কাহিনী। মনে রাখতে হবে, আমাদের সংবিধান ইসরায়েলকে কোন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়না। পক্ষান্তরে, ফিলিস্তিনকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতির পাশাপাশি...
* ফিলিস্তিনি সৈনিকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে নিয়মিত।
* ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদেরকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং মেডিক্যাল কলেজে পড়ার সুযোগ দিয়ে থাকে।
* পাসপোর্টে অবৈধ রাষ্ট্র বিবেচনায় ইসরায়েলে ভ্রমণ নিষিদ্ধ স্বাধীনতার শুরু থেকেই; এটি মূলতঃ বংগবন্ধু অবদান যা পরবর্তী সরকারগণও যথার্থভাবেই অনুসরণ করেছেন
কাজেই, বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের #সাংবিধানিক_কর্তব্য হলো, #ফিলিস্তিনিদের মুক্তি সংগ্রামের #প্রতি_সলিডারিটি প্রদর্শন করা এবং তাঁদের দুঃসময়ে যতটা সম্ভব পাশে দাঁড়ানো।
*** সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, বাস্তব পরিস্থিতি না জেনে+না বুঝে কোন অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য কিংবা মনগড়া কাহিনী প্রচার করে অযথা জনমনে ভীতি ছড়ানো উচিত করা দুঃখজনক।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরপর ২টি প্রতিবাদলিপি ছাপিয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে প্রধানমন্ত্রী নিজেও প্রতিবাদ জানিয়েছেন.... তা বাপের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে হোক কিংবা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থেকে।
পাশাপাশি, গণ অধিকার সংগঠন (কোটা আন্দোলন), জামায়াত-শিবিরসহ একাধিক সংগঠন র্যালি, ভিক্ষোভ মিছিল প্রতিবাদ সভা করেনি। স্বাভাবিকভাবেই র্যাব পুলিশের পক্ষ থেকে কোন বাধা দেওয়া হয়নি কিংবা অগ্রিম হুমকি আসে নি।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিং-১
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিং-২
প্রধানমন্ত্রী স্বাধীন সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনে ভ্রাতৃপ্রতিম ফিলিস্তিনি জনগণের দীর্ঘদিনের দাবির প্রতি অবিচল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।
শেখ হাসিনা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনে সে দেশের সরকার ও জনগণের লক্ষ্য অর্জনে মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন।
Comments
Post a Comment