বর্তমানে ভারত-বাংলাদেশে ভয়াবহ করোনা সংক্রমণের ব্যাপারে 'প্রকৃত সত্য' টা জানুন
আমাদের অনেক অতি আবেগি, ফেইসবুক একটিভিস্টগণের মাথায় একটা জিনিস ১০০% সেট হয়ে গেছে যে, "কেবল হেফাজত মোকাবিলায়" সরকার লক ডাউন দিয়েছে ও করোনার ম্যানিপুলেটেড তথ্য দিয়েছে!!!!!
আরে ভাই! মাত্র এক রাতে কাঁত হয়ে গিয়ে.... উলটা "হাসিনা ডাইনীকে সংবর্ধনা দেওয়া" হেফাজতকে ডিজিএফআই গোণায় ধরে?
বরং ১৮কোটি আবেগী বাংগালকে উষ্টা মারানো বাস্তব অথচ করুণ সত্যটা হলো, মুজিব-বর্ষের জমকালো অনুষ্ঠান পালনের সুবিধার্থেই সরকার এর "প্রায় ২মাস আগে থেকেই ক্রমবর্ধমান" করোনা সংক্রমণের সঠিক তথ্য পরিকল্পিতভাবে গোপন করে কিছুদিন নুতন কোভিড রোগীর সংখ্যা কম দেখিয়েছিল, যা পরবর্তীতে এমনিতেই বাড়াতে হতো।
এর মাঝখানে হেফাজত ইস্যুটা এসেছে কো-ইনসিডেন্ট হিসেবে, আর স্বাভাবিকভাবেই এটার সদ্ব্যবহার করেছে জালিম সরকার... ১০ এর যায়গায় হয়তো ১২ দেখিয়েছে, কিংবা ১৪ বা ১৫! এভাবে করোনা ভাইরাস দ্বারা রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করা আমাদের ডাইনী রেজিমই একমাত্র সরকার নয়; বরং রাশিয়া, আমেরিকা, মালয়েশিয়াসহ অনেক দেশই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করোনার তথ্য ম্যানিপুলেট করেছে। আমার জানামতে, সবচেয়ে বেশি করেছে হাসিনার মতোই ব্যাকডোর দিয়ে ক্ষমতায় আসা বর্তমান মহা-বাটপার মালয়েশিয়া সরকার। সে রীতিমতো জরুরী অবস্থা ঘোষণা করে বসে ছিলো।
আবারো পূর্বের কথায় আসি। হাসিনা তথ্য গোপন করেছে বলে কিংবা আকষ্মিক তথ্য উঠানামা করিয়েছে বলে করোণা ভূয়া এটা সত্য নয়। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই নুতনভাবে করোণার প্রভাব পুনরায় বাড়তেছে। কাজেই, মানুষকে একমূখী ভূল তথ্য দিয়ে মিছিলে মিছিলে কাতারে কাতারে #উম্মত্ত_শপিং এ ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য উৎসাহিত করবেন না, প্লিজ।
আজ যারা কাজের জন্য সংগ্রাম করছেন, তাদেরকে যেন কদিন পর (আল্লাহ না করুন) #কাজ_চাইনা, #অক্সিজেন_চাই স্লোগানে রাস্তায় গড়াগড়ি খেতে না হয়। আপনি আমি মরলে হাসিনারই 'চরম পুলক', ... সে ব্যাপারে আমার-ফাঁসি-চাই গ্রন্থের লেখকের রেফারেন্স দিয়ে পোস্ট দীর্ঘায়িত করলামনা, আপনি নিজ দায়িত্বে পড়ে নিয়েন ( লিংক )।
সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, করোনা হাসিনার আবিষ্কৃত কোন ফ্যাক্ট নয়, এটা বৈশ্বিক সমস্যা যা হাসিনা স্বীকার বা অস্বীকার করায় আপনার কিছু যায় আসে না। বরং আপনার আমার নিজের ও নিজ নিজ পরিবারের এবং বিশেষত বয়স্ক মুরুব্বী ও নিষ্পাপ শিশুদের নিরাপত্তার জন্য যা যা দরকার সব টুকু করার চেষ্টা করতে হবে। দুনিয়ার সব দেশের মানুষের কষ্ট হচ্ছে, আপনার আমারও হবে... ধৈর্য ধরা ছাড়া আপাততঃ কিছু করার নেই। অতিরিক্ত অবহেলা করে ইন্ডিয়ার মতো সর্বনাশা পরিণতি ডেকে আনবেননা, প্লিজ।
হ্যাঁ! একেবারে বসে থাকতে না চাইলে একটা কাজ অবশ্যই করতে পারেন; হাসিনা নামের রক্ত-পিপাসু ডাইনীটাকে সবাই মিলে টেন হিচড়ে তার পংকিলময় মসনদসহ বংগোপসাগরে ফেলে দিতে পারেন। তাইলে সবার মনে একটু শান্তি আসবে.... সেটা করোনা মুক্তির নিশ্চয়তা প্রদান করেনা। পারবেন সেটা করতে?
না পারলে শান্ত থাকুন। নিজে বিভ্রান্ত হবেননা, অন্যকেও বিভ্রান্ত করবেননা, প্লিজ। কোভিড থেকে বাঁচতে অতীতে যেভাবে এ্যালার্ট এবং চেষ্টারত ছিলেন সেভাবেই সেষ্টা চালিয়ে যান; সাহায্যের মালিক আল্লাহ, বুকে সাহস রাখুন, আস্থা রাখুন। একটা সেকেন্ড বা থার্ড ওয়েভ ড্রপ হলেও, ভ্যাক্সিন আবিষ্কৃত হওয়ায় ইনশাআল্লাহ এটাই শেষ ওয়েভ হয়তো (প্রাসংগিক লিংক পড়ুনঃ )। এতদিন তো কষ্ট হয়েছেই সবার, আরেকটু কষ্ট করুন, প্লিজ। হয়তো বা দেড়-দুই মাস ম্যাক্সিমাম.... ইনশাআল্লাহ। আসমানী সাহায্য আসবেই।
আবারো বলছি, আল্লাহর দোহাই! ফেসবুকে বিভ্রান্তিকর পোস্ট শেয়ার না করে আসুন, নিজ নিজ অবস্থান থেকে বাড়ির পাশের গরীব প্রতিবেশীর খবর নিই... সম্ভব হলে যৎসামান্য সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে যাই, ঝাঁপিয়ে পড়ি ক্ষুধিতের আর্তনাদ নিবারণ করতে। আপনার বিপদাপদ দূর করার #সর্বোৎকৃষ্ট_অস্ত্র #দান_সাদাকা করা; যা আমরা হাদীসে রাসূল সাঃ থেকে সবাই জানি।
অবশেষে মুনাজাতে কাঁদি, "হে আরশের মালিক, আমাদেরকে ক্ষমা করো। আমাদের প্রতি রহম করো.... " আমিন, ছুম্মা আমিন...😰😰😰
প্রাসঙ্গিক লিংকসমূহঃ
করোনাভাইরাস মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করছে ভারত। ভয়াবহ এই পরিস্থিতিতে দিল্লির হাসপাতালগুলোতে দেখা দিয়েছে অক্সিজেনের চরম সংকট। এমন পরিস্থিতিতে ভিক্ষা করে, ধার করে, চুরি করে- যেভাবেই হোক, মোদি সরকারকে দেশের হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছেন দিল্লি হাইকোর্ট।
গতকাল বুধবার (২১ এপ্রিল) রাতে এক জরুরি শুনানিতে দিল্লি হাইকোর্ট মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারকে এ নির্দেশ দেন।
Comments
Post a Comment