আবারো "প্রদীপের আগুনে ভস্মীভূত" হয়ে কক্সবাজার পুলিশের ইমেজ সংকট!
তিনি দুঃখের সঙ্গে বলেন, জেলা পুলিশ চমৎকার সমন্বয় ও চেইন অব কমান্ডের সাথে কাজ
করে যাচ্ছিল। নুর-ই খোদা সিদ্দিকী নামের এই ‘পুরান পাপি’ কেমনে রয়েছে গেল,
জানলাম না। জঘন্য মানুষটা আমাদের বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিল!
ওসি বলেন, ইতোপূর্বে সে চকরিয়া থানায়, তার আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডিবিতে ছিল।
খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, মেজর (অব.) সিনহা হত্যা ইস্যুতে কক্সবাজার থেকে একযোগে
সব পুলিশ সদস্য বদলী হলেও অদৃশ্য কারণে কক্সবাজারেই রয়ে গেছেন নুর-ই খোদা
সিদ্দিকী। অপরাধীদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে টাকা কামাই করার সব পথ জানা ছিল তার।
এসআই নুর-ই খোদা সিদ্দিকী কয়েকদিন আগে চকরিয়া থানা থেকে বদলীয় হয়ে কক্সবাজার
শহর ফাঁড়িতে যোগদান করেন।
চকরিয়া থানায় থাকাকালে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় ছিল। পুলিশী হয়রানির ভয়ে
ভুক্তভোগিরা কোথাও অভিযোগ দেওয়ার সাহস করেনি। তবে, টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনার পর
গ্রেফতারের খবরে মুখ খোলতে শুরু করেছে হয়রানির শিকার লোকজন।
উল্লেখ্য, কক্সবাজার পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের মধ্যম কুতুবদিয়া পাড়ায় রোজিনা খাতুন
নামের এক নারীর বসতবাড়িতে ঢুকে পিস্তল ঠেকিয়ে তিন লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে
গ্রেফতার হন তিন পুলিশ সদস্য।
তারা হলেন- কক্সবাজার শহর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) নুর-ই খোদা সিদ্দিকী,
কনস্টেবল আমিনুল মমিন ও মামুন মোল্লা।
সোমবার (১ মার্চ) বিকালে সংঘটিত ঘটনায় ভিকটিম রোজিনা খাতুন সদর থানায় তাদের
বিরুদ্ধে লিখিত এজাহার দিয়েছেন। পরে তা মামলা হিসেবে থানায় রেকর্ডভুক্ত হয়েছে।
অভিযুক্ত তিন পুলিশ সদস্যকে আদালতের মাধ্যমে মঙ্গলবার (২ মার্চ) কারাগারে
পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান জানিয়েছেন, অপরাধ করে কারো পার পেয়ে যাওয়ার
সুযোগ নাই। সে পুলিশ বা অন্য কেউ হোক।
তিনি জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পর মামলার ভিত্তিতে গ্রেফতার তিন পুলিশ
সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া
হচ্ছে।
এদিকে, ভিকটিম রোজিনা খাতুনের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসাসহ নানা অভিযোগ আছে। এসবের
মামলায় গ্রেফতারও হয়েছেন বেশ কয়েকবার। রোজিনা খাতুন কুতবদিয়া পাড়ার বাসিন্দা
রিয়াজ আহমদের স্ত্রী।
কক্সবাজার নিউজ এর প্রতিবেদনঃ
কক্সবাজার নিউজ কর্তৃক ভিডিও প্রতিবেদনঃ
পড়ুন কক্সবাজার নিউজ এর সর্বশেষ (০৪/০৩/২০২১) প্রতিবেদনঃ
Comments
Post a Comment