পতিতাদের কাছ থেকে কক্সবাজার ছাত্রলীগ কর্তৃক নিয়মিত চাঁদা আদায় ও তাদেরকে জিম্মি করে জোরপূর্বক ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার ওপেন সিক্রেট
নিচে সংশ্লিষ্ট ভিক্টিমের জবানবন্দি ও মিডিয়ার একাধিক রিপোর্ট থেকে প্রতীয়মান হয় যে, ছাত্রলীগের জেলা সভাপতি সাদ্দাম ও এমপি কমলের আশীর্বাদপুষ্ট আশিক গ্যাং ছিলোঃ
১. চাঁদাবাজঃ
দেহব্যবসায় জড়িতদের কাছ থেকে #নিয়মিত_চাঁদা_আদায় করতো আশিক গ্যাং।
২. ব্যভিচারীঃ
চাঁদা দিতে অপারগ হইলে ক্ষমতা ও প্রভাব প্রদর্শন পুর্বক #জবরদস্তিমূলক_ব্যভিচারে_লিপ্ত হতো আশিক ও তার দলবল।
৩. নিয়মিত মাদকসেবি ও দুর্বল/গরীবের উপর #ত্রাসঃ
ঝুপড়ি হোটেলের মালিক মহিলার কথা(ভিডিওতে), কথার ইংগিত ও আতংকগ্রস্ত চেহারা প্রমাণ করে সংশ্লিষ্ট এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই আশিক গ্যাং কর্তৃক নিয়মিত #মাদকের_আসর ও #অবৈধ_নারীসম্ভোগ এর বিষয়টি রীতিমতো ওপেন সিক্রেট ছিলো।
এসব অপকর্মে তাদের হোটেল ব্যবহার করলেও মুখ খুললে ব্যবসা বন্ধ ও অন্যান্য হয়রানীর আশংকায় চুপ থাকা ছাড়া গত্যন্তর নাই তাদের।
*********************************
জবানবন্দি ও রিপোর্টের প্রাসঙ্গিক অংশঃ
*********************************
ধর্ষণের শিকার নারীর আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে বলেন, আমার আট মাস বয়সী বাচ্চার হার্টে ছিদ্র। তার চিকিৎসায় ১০ লাখ টাকা প্রয়োজন। কোথাও কোনো উপায় না দেখে অসুস্থ বাচ্চার চিকিৎসার টাকা জোগাড় করতে স্বামীসহ কক্সবাজার এসেছি। এখানে গত তিন মাস ধরে অবস্থান করছি। টাকা জোগাড়ে যখন যেখানে ডাক পেয়েছি গিয়েছি। তার চিকিৎসার জন্যই এ কাজ বাধ্য হয়ে করেছি। এ সময়ে সন্ত্রাসীদের খপ্পরে পড়ি। বাধ্য হয়ে ১০ হাজার টাকা চাঁদাও দিয়েছি। পরে আবার চাঁদা চাইলে স্বামীর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের বাগবিতণ্ডা হয়। এর সূত্র ধরে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে তারা।
ঐ নারী জবানবন্দিতে আরো বলেন, গত বুধবার রাত ৮টার দিকে সৈকত পোস্ট অফিসের পেছনে একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানে নিয়ে যাওয়া হয় আমাকে। সেখানে আশিকের দুই বন্ধু আমাকে ধর্ষণ করে। এরপর আশিক আবার মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায় কলাতলী এলাকার জিয়া গেস্ট ইন নামে একটি হোটেলে। আমাকে নিয়ে ঐ হোটেলের একটি কক্ষে ওঠে আশিক। সেখানে ইয়াবা সেবন করে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে একটি ফোন কলে পুলিশের উপস্থিতির কথা জানতে পেরে আশিক কক্ষ থেকে দ্রুত বের হয়ে যায়।
ভুক্তভোগী ঐ নারী আরো বলেন, আমি হোটেল কক্ষ থেকে বের হয়ে পর্যটন মোটেলের সামনের সড়কে আসি। সেখানে র্যাবের কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে স্বামীকে কথা বলতে দেখি। পরে র্যাব আমাকে নিয়ে হোটেল জিয়া গেস্ট ইনে আসে।
চাঞ্চল্যকর এ ধর্ষণের ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজার সদর থানায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই নারীর স্বামী।
মামলার আসামিরা হলেন; আশিকুল ইসলাম এবং তার তিন সহযোগী আবদুল জব্বার ওরফে ইস্রাফিল হুদা ওরফে জয়, মেহেদী হাসান ওরফে বাবু ও রিয়াজ উদ্দিন ছোটন।
টুরিস্ট পুলিশকে মামলার তদন্ত ভার দেওয়া হয়েছে। আসামিদের মধ্যে জিয়া গেস্ট ইনের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে বৃহস্পতিবার রাতেই গ্রেফতার করে র্যাব। এদের মধ্যে কক্সবাজার সদর থানায় আশিকের নামে অস্ত্র, মাদক, নারী নির্যাতন ও চাঁদাবাজিসহ ১৭টি এবং জয়ের নামে দুটি মামলা রয়েছে। তারা এখনো কক্সবাজার শহরে অবস্থান করছেন বলে একাধিক সূত্র দাবি করেছে।
https://m.daily-bangladesh.com/country/289813#.Ychnm52F1ak.facebook
Comments
Post a Comment