বাংলাদেশের হলুদ সাংবাদিকদের ঘৃণ্য রোহিংগা-বিদ্বেষের নমুনা দেখুন!


মাদক বিরোধী অভিযান চলাকালীন র‍্যাবের সাথে গুলাগুলিতে লিপ্ত হওয়া সবাই বর্তমান এমপির স্বামী ও সাবেক এমপি তথা ইয়াবা সম্রাট বদির আশীর্বাদপুষ্ট পেশাদার চোরাকারবারি। রোহিংগা হোক আর যেকোন জনগোষ্ঠীর মানুষ কি ১০০% সাধু হয়? আর তাদের(রোহিংগাদের) অনেকেই পেটের দায়ে হোক কিংবা ইয়াবা ডিলারদের ভয়ে হোক কিংবা লোভে পড়ে হোক...  ইয়াবা ব্যবসা কিংবা ইয়াবার চালান বহন করার কাজে জড়িত হয়ে পড়েছে;  তা তো জানা কথা। স্বাভাবিকভাবেই তাদেরকে আইনের আওতায় আওতায় আনা সংশ্লিষ্ট বাহিনীগুলির অপরিহার্য দায়িত্ব ও কর্তব্য।
কাজেই, এখানে নিউজটা করা উচিৎ ছিল স্থানীয় আওয়ামীলীগের কুত্তাদের মধ্যে যারা ইয়াবা ডিলার এবং ওসব বিপথগামী রোহিংগাদের গডফাদার, তাদের বিরুদ্ধে।
অথচ নিউজটি এমনভাবে করেছে, যেন পুরো রোহিংগা জাতি মিলে র‍্যাবকে আক্রমণ করেছে!
কতিপয় সেনা সদস্য মিলে রোহিংগা নারীদের ধর্ষণ  করেছে বলে বিশ্বানন্দিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সবাইকে ধর্ষক বলা যাবে?

ফেইসবুকে Qadaruddin Shishir নামের এক ভাই অনেক ভালোভাবে বিষয়টা ব্যাখা করেছেনঃ
পুরো বিষয়টা হলো আমাদের চিরপরিচিত 'বন্দুকযুদ্ধ'। মানে, বাংলা সিনেমায় যেমন নায়কের গুলিতে সর্বদা ভিলেন মরবেই, তেমনি বাংলাদেশি নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে 'প্রথমে গুলি চালানো সন্ত্রাসী/ডাকাতরা/ইয়াবাব্যবসায়ীরা/রোহিঙ্গারা'' মারা যাবেই। এখানেও তা-ই হয়েছে। র‍্যাবের একটি অভিযানে শেষতক আনোয়ার সাদেক নামে একজন নিহত হয়েছে; যাকে কোথাও ডাকাত কোথাও ইয়াবাব্যবসায়ী বলা হয়েছে। এই ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনীর প্রেস রিলিজ প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যমগুলো। এবং শিরোনাম করা হয়েছে এভাবে (স্ক্রিনশটে যেমন দেখা যাচ্ছে)--
একমাত্র সরকারি বাহিনীগুলোর প্রেস রিলিজের ওপর ভিত্তি করে সংবাদের শিরোনামে কোনো জাতিগোষ্ঠির পরিচয়কে এভাবে ভিলিফাই করা হচ্ছে (শব্দচয়ন লক্ষ্যণীয়- 'রোহিঙ্গাদের')।
ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গাদের মধ্যে কেউ কেউ যেসব অপরাধে জড়াচ্ছেন সেই অপরাধগুলোর সাথে তাদের জাতিসত্ত্বার পরিচয়ের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। ইয়াবা ব্যবসা, ডাকাতি, চুরি, খুন, বিবাদ, সংঘর্ষ মারামারি- এসব অপরাধ দুনিয়াজুড়ে সবচেয়ে জাতিগোষ্ঠির মানুষের মধ্যেও প্রতিদিনই ঘটছে। আমেরিকায়ও প্রায় প্রতিদিন আমেরিকানদের গুলিতেই অন্য মানুষ মারা যাচ্ছেন। একারণে আমরা সংবাদের শিরোনাম করিনা 'আমেরিকান সন্ত্রাসীর গুলিতে অতজন নিহত'। বা 'খ্রিষ্টান/ইহুদী/মুসলিম সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত'ও লেখেন না সাংবাদিকরা (যারা সাংবাদিকতা করেন বলে দাবি করেন)।
যদি এমন হতো যে, রোহিঙ্গা এখানে (বাংলাদেশ সরকার বা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে) কোনো জাতিগত বিদ্রোহে জড়িয়েছে, এবং সেই জাতিসত্ত্বার পরিচয়কে অবলম্বন করে অপরাধমূলক কাজ করছে- তাহলেও কিছুক্ষণ 'রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী' শব্দের ব্যবহারের পক্ষে তর্ক করা যেত। এ কারণে মাঝেমাঝে সংবাদমাধ্যমে দেখা যায়, 'পাহাড়ি সন্ত্রাসী' শব্দগুলো। যদিও এটাও আসলে অনুচিত কাজ। পাহাড়ি বা রোহিঙ্গা পরিচয় যারা ধারণ করেন তাদের মধ্যে সন্ত্রাসী নন এমন মানুষও আছেন, এবং তাদের সংখ্যাই বেশি। ফলে একটি জাতিগত পরিচয়ের সাথে নেতিবাচক শব্দ ব্যবহার করে তা প্রচার করা আসলে জাতিবিদ্বেষ তৈরিতে উস্কানি দেয়া।
(নোট: এ ঘটনায় র‍্যাবের গুলিতে একজন রোহিঙ্গা মারা যাওয়ার খবর দেখুন প্রথম আলোতে: 

Comments

Popular posts from this blog

সচিবালয়কে 'হিন্দু-আলয়' -এ রূপান্তর! নেপথ্যে কারা? কি হতে চলেছে বাংলাদেশে?

জাপানে বাংলাদেশী রসায়ন বিজ্ঞানীর অনন্য আবিষ্কারঃ করোনার 'সাময়িক প্রতিরোধ' ও "চিকিৎসা" কেবল ১টি মাত্র ওষুধেই ( One Medicine Treatment)

কাল্পনিক অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত ডানপন্থী ব্লগারদের দুঃখের দিনের কান্ডারী ফারাবির নিঃশর্ত মুক্তি চাই